নদীর ইজারা বহির্ভূত এলাকা থেকে বালু উত্তোলন, গ্রেফতার ৪

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক বগুড়া
প্রকাশিত: ০৩:৪১ পিএম, ১৫ জানুয়ারি ২০২৩

বগুড়ার ধুনট উপজেলা যুবলীগের এক নেতা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে যমুনা নদীর ইজারা বহির্ভূত এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নৌ-পুলিশের করা মামলায় চার শ্রমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতাররা হলেন, উপজেলার শহড়াবাড়ি গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে আশিক (২০), তোতা মিয়ার ছেলে একরাম (২০), হেলাল মণ্ডলের ছেলে লিমন মিয়া (২০) এবং শফি মণ্ডলের ছেলে সবুজ মণ্ডল (২৫)। এসময় বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত একটি বাল্কহেড জব্দ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: নদী থেকে বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে আবাদি জমি

রোববার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরের পর আদালতের মাধ্যমে তাদের বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে শনিবার বিকেলে নৌ-পুলিশের টাঙ্গাইল অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার ইসমাইল মিঞা ও সিরাজগঞ্জ সদর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে শহড়াবাড়ি ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের ধুনট থানায় হস্তান্তর করে নৌ-পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ২০২২ সালের ২ অক্টোবর ধুনট উপজেলার চৈবেড় মৌজার ৩৬ দশমিক ৯৩ একর সরকারি খাস জমি ছয় মাসের জন্য বালুমহাল হিসেবে ইজারা বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। উপজেলা যুবলীগের ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক বেলাল হোসেন ওই বালুমহাল ইজারা নেন। কিন্তু বর্তমানে ইজার নেওয়া বালুমহালের নির্ধারিত স্থানে চর জেগে ওঠায় ইজারাদার বেলাল বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও তীর সংরক্ষণ প্রকল্পসহ আশপাশের ব্যক্তি মালিকানাধীন ফসলি জমির পাশে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করেন।

jagonews24

আরও পড়ুন: যমুনা থেকে যুবলীগ নেতার বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি এলাকাবাসীর

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

এদিকে, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ধুনটে যমুনা নদীর বানিয়াজান স্পার, বাঁধ এবং তীর সংরক্ষণ প্রকল্প হুমকির মুখে পড়ে। এ ঘটনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে স্থানীয় এলাকাবাসী মানববন্ধন করাসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেয়। পরে এ ঘটনায় মামলা করে নৌ-পুলিশ।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে যুবলীগ নেতা বেলাল হোসেন বলেন, যমুনা নদীতে ইজারা বন্দোবস্ত নেওয়া এলাকা থেকেই বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। তারপরও আমার কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা না পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে নৌ-পুলিশ অভিযান চালিয়ে চার শ্রমিককে গ্রেফতার করেছে।

আরও পড়ুন: খাল থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন, জমি-বাড়িঘর ধসের শঙ্কা

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, সিরাজগঞ্জ সদর নৌ-থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরিফুল ইসলামের করা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে চার আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এমআরআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।