ধর্ষণের পর হত্যা: ৭ দিন পর সাগরে ভেসে উঠলো শিশু লামিয়ার মরদেহ
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে ১১ বছরের শিশু লামিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) লামিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যা করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। এক সপ্তাহ পর শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে সোনারচর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের মোহনা থেকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, দুপুরে সোনারচর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে মোহনায় জেলেরা ভাসমান মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
৬ জানুয়ারি রাতে রাঙ্গাবালীর চরআন্ডা গ্রামে ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় এগারো বছরের শিশু লামিয়াকে। পরে মরদেহ গুম করতে ধর্ষক আল আমিন বুড়াগৌড়াঙ্গ নদীতে লামিয়ার মরদেহ ফেলে দেন।
পরদিন এ ঘটনায় অভিযুক্ত অটোরিকশাচালক আল-আমিনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনার দায় স্বীকার করে গলাচিপা উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আল আমিন। তবে লামিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম মজুমদার জানান, শিশু লামিয়াকে ধর্ষণ এবং হত্যার পর মরদেহ গুম করতে নদীতে ভাসিয়ে দেয় আল আমিন। এ ঘটনায় আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে সে। ঘটনার পর থেকে মরদেহ উদ্ধারে পুলিশের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও কাজ করে। অবশেষে আজ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আব্দুস সালাম আরিফ/এফএ/এএসএম