দুপুরে নবজাতক চুরি, রাতে নিজেই জন্ম দিলেন মেয়ে সন্তান
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে দুপুরে বাচ্চা চুরি করা তানিয়া আক্তার (২৩) রাতেই একটি মেয়ে সন্তান জন্ম দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে সিজার অপারেশনের মধ্যদিয়ে তিনি সন্তান প্রসব করেন।
এর আগে দুপুরে তিনি ৩ দিনের এক নবজাতক চুরি করে নিয়ে যান। পরে অভিযান চালিয়ে ঘটনার ৪ ঘণ্টা তাকে আটক করে পুলিশ৷ আটকের পর পুলিশ জানতে পারে তানিয়া নিজেও গর্ভবতী। রাতে থানায় প্রসব বেদনা উঠলে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তানিয়া সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের সিন্দুরা গ্রামের নিয়াজ আহাম্মদ লিটনের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: ‘আত্মীয় পরিচয়ে’ হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরি, পরে উদ্ধার
পুলিশ জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার তালশহর পূর্ব ইউনিয়নের ফরিদ মিয়ার স্ত্রী রেখা আক্তার (২৭) ৩ দিন আগে হাসপাতালে একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালে গাইনি ওয়ার্ডে এসে এক নারী নিজেকে রেখা আক্তারের আত্মীয় দাবি করেন। এসময় রেখার পাশে থাকা তার দাদিকে ৫০০ টাকা দিয়ে ফল আনতে বলেন ওই নারী। তিনি নবজাতক শিশুটিকে ডাক্তার দেখাতে হবে বলে তাকে কোলে নেন। সঙ্গে রেখার ১১ বছরের এক বোনকে নিয়ে নবজাতকটিকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যান। ওই নারী প্রথমে স্বর্ণের একটি আংটি ১৫ হাজার টাকায় বিক্রয় করে রেখার বোনের কাছে দেন। সেখান থেকে প্রথমে কুমারশীল মোড় আমিন কমপ্লেক্সে এক শিশু চিকিৎসকের চেম্বারে যান। সিরিয়াল না পেয়ে সন্ধানী হাসপাতালে আরেক শিশু চিকিৎসকের চেম্বারে যান তিনি। ওই হাসপাতালে রেখার বোন টয়লেটে গেলে এ সুযোগে নবজাতকটিকে নিয়ে পালিয়ে যান তিনি।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ দেখি। এরপর বিভিন্ন জায়গায় শিশুটিকে উদ্ধার করতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে সদর উপজেলার সিন্দুরা গ্রামে অভিযান চালিয়ে শিশুসহ তানিয়া নামের ওই নারীকে আটক করা হয়। রাতে সন্তান প্রসবের লক্ষ্মণ দেখা দিলে আমরা জানতে পারি তিনি গর্ভবতী। পরে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হলে সিজারিয়ানের মাধ্যমে তিনি কন্যা সন্তান জন্ম দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম জানান, মা ও নবজাতক সুস্থ আছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/আরএইচ/এমএস