টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিতে হুঁশিয়ারি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার
প্রকাশিত: ০৫:৪৬ পিএম, ১০ জানুয়ারি ২০২৩

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচলের অনুমতি না পেলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কক্সবাজারের পর্যটন সংশ্লিষ্ট ১০ সংগঠনের নেতারা।

‘নাব্য সংকটের অজুহাতে বন্ধ থাকা’ টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের দাবিতে মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেন তারা।

সৈকতের লাবণী পয়েন্টের হোটেল মিশুকে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, পর্যটন মৌসুমে কক্সবাজার ভ্রমণকারী পর্যটকদের বেশিরভাগই সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করতে চান। দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন মূল ভূখণ্ড থেকে ১৫ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থিত। প্রতি নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত পর্যটন মৌসুমে পর্যটকরা জাহাজে চলাচল করেন।

পর্যটক ভ্রমণসেবা দানের মাধ্যমে ট্যুর অপারেটরদের পাশাপাশি ট্যুর গাইড, হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউজ, রেস্ট হাউজ, ফ্ল্যাট ও কটেজ ব্যবসায়ী-কর্মচারী, বাস-মিনিবাস ব্যবসায়ী-কর্মচারী, রেস্টুরেন্ট ও ফুড প্রসেসিং ব্যবসায়ী-কর্মচারী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, ভ্যান- রিকশা-টমটম চালক এবং বিভিন্ন প্রকারের কুটির শিল্প ব্যবসায়ীসহ প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করেন।

কিন্তু নাফনদীতে নাব্য সংকটের অজুহাতে চলতি পর্যটন মৌসুমের শুরু থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ। তবে, মিয়ানমারের মালামাল পরিবহন চলমান। নাব্য সংকটই যদি থাকতো তাহলে মিয়ানমারের এসব জাহাজ মালামাল নিয়ে কীভাবে আস-যাওয়া করছে? মাসে একাধিক জাহাজ বাণিজ্যিক মালামাল নিয়ে এখানে আসে বলে জানিয়েছেন সিএনএফ এজেন্ট ও বন্দর সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় পর্যটনসেবায় যুক্ত পাঁচ লাখ মানুষের জীবিকা হুমকির সম্মুখীন। এসময় এ রুটে জাহাজ চলাচলে অনুমতি দিতে সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি জানান তারা।

jagonews24

ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের (টুয়াক) সমন্বয়ে সি-ক্রোজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (স্কায়াব), কলাতলী মেরিন ড্রাইভ হোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতি, সেন্টমার্টিন আবাসিক হোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিতি, সেন্টমার্টিন বোট মালিক সমিতি, ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজার, কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতি, বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি, কক্সবাজার জেলা বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপ, সেন্টমার্টিন রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি, সেন্টমার্টিন বাজার মালিক সমিতি যৌথভাবে এ দাবি উত্থাপন করে।

এসময় টুয়াক সভাপতি আনোয়ার কামাল, সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মনিবুর রহমান টিটু, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী টুটুল, সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম ডালিম, স্কোয়াব সহ-সভাপতি এস এম আবু নোমান, ছৈয়দুল হক কোম্পানি, হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজ সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ, মেরিন ড্রাইভ হোটেল সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান, সেন্টমার্টিন হোটেল ও বাজার সমিতির সভাপতি আবদুর রহমান, সেক্রেটারি এম এ রহিম জিহাদি, সেন্টমার্টিন বোট মালিক সমিতির সভাপতি রশিদ আহমদ, সাধারণ সম্পাদক হাবিবর রহমান, ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের সভাপতি শাহ আলম ও টুয়াক উপদেষ্টা কামরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।

সায়ীদ আলমগীর/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।