অতিরিক্ত শীতের প্রভাব সবজির বাজারে
অতিরিক্ত শীতে সপ্তাহের ব্যবধানে ময়মনসিংহে বেড়েছে সবধরনের সবজির দাম। খাসির মাংস, ডিম, মসলা ও কাঁচা মরিচের দামও বেড়েছে। তবে, মাছ ও মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর প্রধান কাঁচাবাজার মেছুয়া বাজার ঘুরে এতথ্য পাওয়া যায়।
বাজারের সবজি বিক্রেতা মফিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, অতিরিক্ত শীতে সবজির উৎপাদন কম। শীতের কারণে কৃষক বাজারে সবজি আনতেও পারছেন না। তাই, সবধরনের সবজির দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা করে বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচামরিচের দাম কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তিনি জানান, টমেটো কেজি ৪০, শিম ৩০, দেশি নতুন আলু ৩০, নতুন হল্যান্ড আলু ২৫, শসা ৪০, গাজর ৪০, বেগুন ৩৫, মটরশুটি ৮০, করলা ৪০, পেঁপে ২৫ টাকা কেজি, লাউ ২৫ টাকা পিস, মুলা ১০ টাকা, পেঁয়াজপাতা ১৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩৫ টাকা, ফুলকপি ৩৫ টাকা, কাঁচ কলা ৩০ টাকা হালি, বরবটি ১০০ টাকা কেজি, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৫০ টাকা পিস, লেবু ২০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।
একই বাজারের মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হান্নান মিয়া বলেন, আমদানি কম তাই সপ্তাহের ব্যবধানে খাসির মাংস ৫০-৮০ টাকা বেড়ে ৯৫০ টাকা, বকরির মাংস ৮০০-৮৫০ টাকা ও গরুর মাংস ৬৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
মাছ মহালের মাছ বিক্রেতা আকরাম হোসেন বলেন, শীত অনেক বেশি। আমদানি কম থাকায় সবধরনের মাছের দাম কিছুটা বাড়তি।
ওই বাজারে বাটা মাছ ১৮০, পাবদা ৪০০, ট্যাংরা ৫০০, শিং মাছ ৪০০, শোল ৫০০, বোয়াল ৭০০, চিংড়ি ১০০০, বাইম ১০০০, মলা ৩০০, কাকিলা ৭০০, সিলভার কার্প ২৫০, কালবাউশ ২৫০, ছোট রুই ২৫০, পাঙাশ ১৫০, গ্রাসকার্প ২৫০, কাতলা ৪৫০, মৃগেল ২০০, কাচকি ৪০০ ও চাপিলা মাছ ৪০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
মুরগির দাম স্থিতিশীল বলে জানান বিক্রেতা মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা, সোনালি ১৫০ টাকা, সাদা কক ২৫০ টাকা, লেয়ার ২৭০ টাকা, দেশি মুরগি ৪২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের হালিতে পাঁচ টাকা বেড়েছে। হাঁসের ডিম ৬০ টাকা, ফার্মের মুরগির ডিম ৪০ টাকা ও দেশি মুরগির ৬৫ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।
রাসেল স্টোরের বিক্রেতা রাসেল বলেন, ডালের দাম বাড়েনি। তবে, সপ্তাহের ব্যবধানে মসলার দাম বেড়েছে।
তিনি জানান, অ্যাংকর ৬৫ টাকা, বুটের ডাল ৮৫ টাকা, মুগডাল ১১০ টাকা, ইন্ডিয়ান মসুর ৯২ টাকা, দেশি মসুর ১২০ টাকা, খেসারি ৮০ টাকা, ছোলা ৮২ টাকা, মাসকলাই ১০ টাকা কমে ১৪০ টাকা, চিনি ১১০ টাকা, খোলা আটা ৫৮ টাকা ও প্যাকেট আটা ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া এলাচ ১২০০ টাকা, ইন্ডিয়ান জিরা ১০০ টাকা বেড়ে ৬০০ টাকা, লবঙ্গ কেজিতে ৪০০ টাকা বেড়ে ১৪০০ টাকা, মরিচের গুঁড়া ৩৮০ টাকা, হলুদের গুঁড়া ১৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল থাকলেও রসুনের দাম বেড়েছে বলে জানান বিক্রেতা আব্দুস সালাম। তিনি বলেন, দেশি পেঁয়াজ ৩০ টাকা, চায়না রসুন ২০ টাকা বেড়ে ১৩০ টাকা, দেশি রসুন ২০ টাকা বেড়ে ১১০ টাকা ও আদা ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ০
মেসার্স মিলন বালা পালের বিক্রেতা বলেন, সয়াবিন ১৮৪ টাকা, পামঅয়েল ১৩০ টাকা, সরিষার তেল ২৬০ টাকা ও নারিকেল তেল ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
মঞ্জুরুল ইসলাম/এসআর/এএসএম