বেহাল রাস্তা, আত্মীয়তা করতে চায় না কেউ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি জামালপুর
প্রকাশিত: ০৩:২৮ পিএম, ০৯ জানুয়ারি ২০২৩

রাস্তাজুড়ে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। কোথাও ভেঙে নদীর সঙ্গে মিশে গেছে। চলাচলের সময় যানবাহন উল্টে আহত হওয়ার ঘটনা নিত্যদিনের। জামালপুরের বকশীগঞ্জের বিয়াইবাজার-লুৎফরগঞ্জ বাজারের ১০ কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তার চিত্র এমনই।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের বিয়াইবাজার থেকে লুৎফরগঞ্জ বাজার পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তার পুরোটাই কাঁচা। এ রাস্তা দিয়ে চরগামারিয়া, মাইসাময় চর, ভাটি কলকিহারা, ফকিরপাড়া, বাগডোবা, মেরুর চর এ ছয় গ্রামসহ আশপাশের জনপদের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ ৫০ বছর ধরে চলাচল করছেন। এই ৫০ বছরেও রাস্তাটি পাকাকরণ না হওয়ায় দুর্ভোগ নিয়ে যাতায়াত করছেন এলাকাবাসী। এখানে পায়ে হাঁটা এবং সাইকেল চলা মানুষই চোখে পড়ে বেশি। মাঝে মধ্যেই দেখা যায় উঁচু-নিচু রাস্তায় ধুলি উড়িয়ে চলাচল করছে ইজিবাইক ও শ্যালো মেশিনচালিত ভটভটি।

স্থানীয়রা জানান, শুষ্ক মৌসুমে কোনোরকম চলাচল করা গেলেও বর্ষাকালে যানবাহনই মেলে না। উৎপাদিত কৃষিপণ্য আনা-নেওয়া, কোমলমতি শিশুদের স্কুলে যাতায়াতসহ নানারকম সমস্যায় জর্জরিত তারা। কেউ অসুস্থ হলে সদরে নিতেও বেগ পেতে হয় তাদের। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় কেউ আত্মীয় করতে চান না। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় প্রতিনিধিসহ প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও লাভ হয়নি।

কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দা ঝুমুর বানু, কামাল উদ্দিন, রহিম মিয়াসহ আরও অনেকের সঙ্গে। তারা বলেন, রাস্তাঘাট খারাপ থাকায় কেউ তাদের সঙ্গে আত্মীয়তা করতে চান না। চেয়ারম্যান, মেম্বারের কাছে গিয়েও কোনো ফল হয়নি।

মেরুর চর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবুল কাশেম জাগো নিউজকে বলেন, রাস্তার অভাবে এলাকার লোকজন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। তবে সম্প্রতি রাস্তার টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। রাস্তার কাজ শেষ হলে ১৫-২০ হাজার লোকের দুর্ভোগ লাঘব হবে।

এ বিষয়ে জামালপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সায়েদুজ্জামান সাদেক জাগো নিউজকে বলেন, জেলার প্রায় সব রাস্তা ক্রমান্বয়ে পাকা করা হচ্ছে। এর মধ্যে জামালপুর নামে একটি প্রকল্প চালু করা হচ্ছে। ওই প্রকল্পের মাধ্যমে রাস্তাটি পাকা করা হবে।

নাসিম উদ্দিন/এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।