ওসমানী বিমানবন্দরে ই-গেট উদ্বোধন
১৮ সেকেন্ডেই ইমিগ্রেশন শেষ করলেন সেগুপ্তা
সিলেট এম এ জি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ই-গেট কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়েছে। রোববার (৮ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় এই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
মন্ত্রী ই-গেটের উদ্বোধনের পরপরই প্রথম যাত্রী হিসেবে ই-গেট ব্যবহার করেন লন্ডনের যাত্রী সিলেটের মেয়ে সেগুপ্তা ধর জুঁই।
মাত্র ১৮ সেকেন্ডের মধ্যে ইমিগ্রেশন শেষ করে জাগো নিউজকে সেগুপ্তা বলেন, ই-গেট ব্যবহারের কারণে অনেক সময় বেঁচে গেলো। আগে ইমিগ্রেশন শেষ করার জন্য অনেক সময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। কিন্তু ই-গেটের মাধ্যমে খুব দ্রুত সব হয়ে গেলো। স্মার্ট বাংলাদেশের এই অর্জন মনে রাখার মতো। এতে আমি খুবই আনন্দিত।
ই-গেট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ই-গেট চালু হওয়ায় মাত্র ১৮ সেকেন্ডেই ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন যাত্রীরা। তবে এজন্য তাদের কাছে ই-পাসপোর্ট থাকতে হবে। ই-পাসপোর্টে ম্যাক্রো চিপের মাধ্যমে ইমিগ্রেশন অধিকতর নিরাপদ ও সহজ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম কোনো দেশ যে ই-পাসপোর্ট ও ই-গেট চালু করেছে। এটি পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের কাজকেও সহজ করেছে।
এম এ জি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ জাগো নিউজকে জানান, বিমানবন্দরে মোট ছয়টি ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে। এরমধ্যে তিনটি প্রবেশের জন্য, তিনটি বের হওয়ার জন্য। ই-পাসপোর্টধারীরা এসব গেট ব্যবহার করে স্বল্পসময়ের মধ্যে নির্ভেজালভাবে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন।
ই-গেট কার্যক্রম তদারকি করবে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের ইমিগ্রেশন পুলিশ। ই-পাসপোর্ট ই-গেটের নির্দিষ্ট স্থানে রাখলেই ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হয়ে গেট খুলে যাবে। এতে সর্বোচ্চ ১৮ সেকেন্ডের মতো সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী।
২০২১ সালের ৩০ জুন বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ই-গেট কার্যক্রম শুরু হয় ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। ২৬টি ই-গেটের মাধ্যমে সেখানে এ সেবা দেওয়া হচ্ছে। গত বছরের নভেম্বর মাসের মাঝামাঝিতে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বসে ছয়টি ই-গেট। দেশের তৃতীয় কোনো বিমানবন্দর হিসেবে সবশেষ সিলেট এম এ জি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও ই-গেট কার্যক্রম চালু হলো।
ছামির মাহমুদ/এমআরআর/জিকেএস