জবুথবু কুমিল্লা, বেড়েছে পুরাতন গরম কাপড়ের কদর

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুমিল্লা
প্রকাশিত: ০২:৩৫ পিএম, ০৮ জানুয়ারি ২০২৩

সারাদেশের মতো ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে জবুথবু কুমিল্লার জনজীবন। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষরা। আর এই শীত নিবারণের জন্য কদর বেড়েছে পুরাতন গরম কাপড়ের। উষ্ণতা পেতে মানুষ ভিড় করছেন ফুটপাতের পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে। কিনছেন সোয়েটার, জ্যাকেট, হুডি, ব্লেজার, শাল, কানটুপি ও হাতমোজা। প্রতিটি দোকানেই সাধারণ সময়ের চেয়ে কয়েকগুণ বেড়েছে বেচাকেনা।

তবে ক্রেতাদের অভিযোগ চাহিদা বাড়ায় বেশি দামে বিক্রি করছেন দোকানিরা। এতে করে বেকায়দায় পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। এদিকে, বিক্রেতাদের দাবি বেশি দাম দিয়ে ক্রয় করতে হচ্ছে, যার কারণে বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশিতে।

নগরীর রাজগঞ্জ, ছাতিপট্টি ও চকবাজার, মনোহরপুর ও কান্দিরপাড়সহ বিভিন্ন এলাকায় ফুটপাত, মার্কেট ও শপিংমল ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

Comilla3.jpg

এসময় রাজগঞ্জ এলাকায় আরোয়ার বেগম নামে ক্রেতা জাগো নিউজকে বলেন, পুরাতন গরম কাপড়ের বাজারে এসেছি ছেলের জন্য জেকেট কিনতে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার দাম এবার অনেক বেশি। চেষ্টা করছি কম দামে একটি ভাল জেকেট খুঁজে বের করতে।

কান্দিরপাড় এলাকায় গরম কাপড় কিনতে আসা নগরীর দক্ষিণ চর্থার বাসিন্দা খাদিজা আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, জানুয়ারির শুরু থেকেই ঠাণ্ডা পড়তে শুরু করেছে। এসময়ে শিশুরা বেশির ভাগই ঠাণ্ডা-কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। এ কারণে বাচ্চাদের জন্য গরম কাপড় কিনতে এসেছি।

ছাত্তারখান কমপ্লেক্সে শপিং করতে আসা জহিরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বলেন, গরম জামা-কাপড়ের দোকানে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। ৫০০ টাকার কাপড় এখন ৮০০ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত দাম চাচ্ছেন দোকানিরা। মনে হচ্ছে মার্কেট থেকে না কিনে ফুটপাতে যেতে হবে। সেখানে অল্প দামে অনেক ভাল জামা-কাপড় পাওয়া যায়।

Comilla3.jpg

ছাতিপট্টিতে ফুটপাতের পুরাতন গরম কাপড় ব্যবসায়ী জহির জাগো নিউজকে বলেন, গতবারের চেয়ে এবার কুমিল্লায় শীত বেশি পড়ছে। যার কারণে আমাদের বেচা-বিক্রিও ভাল হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে। এবারে মালের দামও কিছুটা বেশি। প্রতি বান্ডিলে (বেলে) দাম বেড়েছে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত। এছাড়াও প্রতি বান্ডিলে ৫/৭টা বাদ মাল রয়েছে। তাই একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

কুমিল্লা আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ইসমাইল ভূঁইয়া জাগো নিউজকে জাগো নিউজকে বলেন, ৩ জানুয়ারি এ বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বোচ্চ ২৬ দশমিক ০৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর গত দুই দিন তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, সর্বোচ্চ ১৬ দশমিক ০১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময়ে কুমিল্লাতে স্বাভাবিক তাপমাত্রা ২৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকার কথা। তাপমাত্রা কম থাকায় শনিবারও দেখা মেলেনি সূর্যের।

তিনি আরও বলেন, এ নিয়ে চারদিনে সূর্যের দেখা মেলেনি। ফলে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। ঘণ্টায় ৮-১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা শীতের তীব্রতা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে।

জাহিদ পাটোয়ারী/জেএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।