দিনাজপুর

কনকনে শীতে পুরাতন কাপড়ের দোকানে উপচেপড়া ভিড়

এমদাদুল হক মিলন এমদাদুল হক মিলন , দিনাজপুর দিনাজপুর
প্রকাশিত: ০৮:৪১ এএম, ০৭ জানুয়ারি ২০২৩
শীতের পুরাতন কাপড় কিনতে ভিড় করছেন মানুষ

কয়েক দিনের তীব্র শীতে কাঁপছে দিনাজপুর। ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ বিপাকে পড়েছেন। ফলে পুরাতন গরম কাপড়েরও কদর বেড়েছে এ জেলায়। শীত থেকে রক্ষা পেতে নিজের কিংবা পরিবারের সদস্যদের জন্য কাপড় কিনতে ভিড় করছেন তারা। তবে দাম বেশি হওয়ায় বেকায়দায় পড়েছেন অনেকে।

শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) ছুটির দিন শেষ বিকেলে দিনাজপুর গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে পুরাতন কাপড়ের বাজারে পুরাতন কাপড়ের দোকানে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। ছেলে মেয়ে শিশুসহ সব বয়সের মানুষকে শীতের কাপড় কিনতে দেখা গেছে। মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনও এ বাজারে কেনাকাটা করছেন।

এক সময় এই পুরাতন কাপড়ের এ বাজার ‘লন্ড্রাবাজার’ নামে পরিচিত ছিল। বাজারটি দিনাজপুরের আদালত চত্বরে বসতো। পরে দিনাজপুর গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে নিয়ে আসা হয়। এখন বাজারটিরেক ‘কাচারি বাজার’ নামে চেনেন মানুষ।

din-(3).jpg

বিরল উপজেলার কাঞ্চন ঘাট থেকে আসা আবুল হাসান নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘আমি জেকেট কিনতে এসেছি। দাম গত বারের তুলনায় একটু বেশি। তবে খুব বেশি নয়। শুক্রবার হওয়ায় অনেক ভিড়।’

আলমিনা আকতার মনি নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘আমি আজকে কাচারি বাজারে এসেছি। এত শীত আর বাজারের মধ্যে এত ভিড়। মানুষ এসেছে গরম কাপড় কিনবে। আমি নিজেও কিনেছি। তবে অন্য জিনিসের তুলনায় শীতের কাপড়ের দাম তত বাড়েনি।’

পুরাতন গরম কাপড় ব্যবসায়ী মো. রফিকুল ইসলাম। দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে তিনি এ বাজারে বসেন। রফিকুল বলেন, ‘গতবারের চেয়ে শীতও বেশি। দামও কিছুটা বেশি। প্রতি বান্ডিলে (বেলে) দাম বেড়েছে দু থেকে ৩ হাজার টাকা। তাই আমাদেরও একটু বেশি দামে কাপড় বিক্রি করতে হচ্ছে। বিক্রি বেশ ভালো। ছুটির দিন রাত ১০টা পর্যন্ত বেচাকেনা হয়।’

din-(3).jpg

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ জাগো নিউজকে বলেন, তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। বাতাসের আদ্রতা এবং গতি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং সূর্য না ওঠায় কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, শুক্রবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গত বৃহস্পতিবার ছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ ও বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১১ থেক ১৬ কিলোমিটার। রোদ উঠলেও প্রখরতা খুব ছিল না।

এসজে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।