স্কুলের এক ভবনে ১৯ মৌচাক!

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নেত্রকোনা
প্রকাশিত: ০৬:২৭ পিএম, ০৩ জানুয়ারি ২০২৩

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন যেন হয়ে উঠেছে মৌমাছিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল। তাই একটি-দুটি নয় ওই বিদ্যালয় ভবনের বিভিন্ন স্থানে ১৯টি মৌচাক তৈরি করেছে মৌমাছিরা। এতে আতঙ্কে রয়েছেন বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকসহ পুরো এলাকার লোকজন।

উপজেলার মোজাফফরপুর ইউনিয়নের চারিতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেলেই দেখা মিলবে এসব মৌচাকের। বিদ্যালয় ভবনের মৌচাকগুলোতে প্রতিনিয়ত আসা যাওয়া করে শত শত মৌমাছি। ফলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

স্থানীয়রা বলছেন, ডিসেম্বরে বার্ষিক পরীক্ষার পর স্কুলে ক্লাস ছিল না। তাই এতদিন শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসেনি। তবে নতুন বছরে এখন পুরোদমে ক্লাস শুরু হয়েছে। কিন্তু বিদ্যালয়ে এতগুলো মৌচাক থাকায় চরম ঝুঁকিতে আছে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া শিক্ষক, অভিভাবকসহ আমরা এলাকাবাসীও ভয়ের মধ্যে রয়েছি।

স্থানীয় বাসিন্দা সুলেমান মিয়া জানান, আমাদের এলাকাটি হাওরাঞ্চল। হাওরের জমিতে এবার প্রচুর সরিষার চাষ হয়েছে। এসব সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহের সুবিধার জন্যই হয়তো এ বিদ্যালয় ভবনের দেয়ালগুলোতে মৌমাছিরা এতগুলো মৌচাক তৈরি করেছে।

বিদ্যালয়টির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক ফজলু মিয়া বলেন, স্কুলে এতগুলো মৌচাক থাকায় আমাদের শিশুরা চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। স্কুল চলাকালীন শিশুরা যদি দুষ্টুমি করে মৌচাকে ঢিল ছোড়ে তাহলে যেকোনো সময় শিশুরা মৌমাছি দ্বারা আক্রান্তের শিকার হতে পারে।

মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে চারিতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলরুবা আক্তার জাহানের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, গত কয়েক মাস যাবত স্কুল ভবনে হঠাৎ করে মৌমাছিরা বাসা বাঁধতে শুরু করে। এতে করে স্কুলের শিক্ষার্থীসহ আমরা কিছুটা আতঙ্কের মধ্যেই আছি।

বিষয়টি নিয়ে কথা হলে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তার লিপি বলেন, স্কুলে মৌমাছিদের বাসা বাঁধার খবর পেয়েছি। স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নিরাপত্তার স্বার্থে মৌচাক ভাঙা হবে। তবে এর থেকে যা মধু পাওয়া যাবে তা বিক্রি করে প্রাপ্ত টাকা স্কুলের উন্নয়নমূলক কাজে লাগানো হবে।

এইচ এম কামাল/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।