২০২২ সালে যা পেলো শেরপুরবাসী
শেষ হয়ে গেলো আরও একটি বছর। পুরোনো ক্যালেন্ডারের হিসাবে প্রাপ্তির খাতায় কতটা পেয়েছে শেরপুরবাসী?
প্রত্যাশা ছিল, একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, রেললাইন, মেডিকেল কলেজ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ কতকিছু! পুরো বছরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে জেলায় সরকারদলীয় এমপি, প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রীর যাতায়াত ছিল বেশ কয়েকবার। স্থানীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে জেলা পরিষদ নির্বাচনে সরগরম ছিল পুরো বছর। সীমান্তবর্তী শেরপুর জেলার সাধারণ মানুষের ভাগ্য বদলে প্রত্যাশা কতটা পূরণ হয়েছে তা জানার চেষ্টা করেছে জাগো নিউজ।
দিনমজুর থেকে শুরু করে সরকারি আমলা, জেলার সবারই প্রত্যাশা ছিল ২০২২ ঘিরে। পর্যটন সমৃদ্ধ এই শেরপুরে হবে রেললাইন। গত এক দশকে স্থানীয়দের সর্বোচ্চ চাহিদা থাকা স্বত্বেও কোনো আশার বাণী পায়নি শেরপুরবাসী। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন চলছে প্রতিনিয়ত। কাছাকাছি বিভাগীয় শহর ময়মনসিংহ ও পাশের জামালপুরে উন্নয়নের ব্যপক ছোঁয়া লাগলেও তেমন কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নেই শেরপুরে। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ উন্নয়ন হলেও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলোতেও নেই আধুনিকতার ছোঁয়া। চলমান কার্যক্রমের মধ্যে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নতুন ভবন নির্মাণ, পোস্ট অফিসের নতুন ভবন, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ব্যতীত এবছর নতুন কোনো ভবনের কার্যক্রমও শুরু হয়নি।
২০২২-এ দুই দফায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শেরপুর। অর্ধলাখ মানুষ ছিল পানিবন্দি। সরকারি সহায়তা দ্রুত সময়ে পৌঁছালেও ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতীর বেড়িবাঁধ নির্মাণে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই। নদী পাড়ের সড়ক ভেঙে যাতায়াতের ভোগান্তি ছিল পুরো বছরজুড়েই। নদী ভাঙনের কবল থেকে বাঁচাতে পাউবোর কাজেও অনিয়মের অভিযোগ ছিল নকলা উপজেলায়। ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে মানচিত্রই পাল্টে যাচ্ছে যে গ্রামের, সে গ্রামেও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
এদিকে, নষ্ট থেকে বাতিলে রূপ নিয়েছে শেরপুর জেলা হাসপাতালের ১৪টি গাড়ি। বছরের বেশিরভাগ সময় লিফট নষ্ট থাকায় হাসপাতালই আরেক ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বছরের শুরুতেই জেলা হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আতঙ্কিত জেলাবাসীর মনে স্বস্তি দিতেও হাসপাতালে নেওয়া হয়নি জরুরি অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। বছরজুড়ে ১৪ লাখ মানুষের একমাত্র ভরসাস্থল জেলা হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট ছিল চরমে। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতেও চিকিৎসার ভোগান্তি কমার প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।
সীমান্তের হাতি মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে সরকারের পাইলট প্রজেক্ট সোলার ফেন্সিংও মুখ থুবড়ে পড়েছে। মরেছে হাতি, বাদ যায়নি মানুষও। বছরজুড়ে এই দ্বন্দ্ব নিরসনে স্থায়ী কোনো উদ্যোগ নিতে পারেনি কেউই। এরই মধ্যে গারো পাহাড়ে বাঘ আতঙ্ক ছড়িয়ে সুবিধা নিতে চেয়েছে একটি মহল।
বন বিভাগের দখল হওয়া জমি উদ্ধার হয়েছে কিঞ্চিত পরিমাণে, বেড়েছে অবৈধ বালু ও পাথর উত্তোলন। এরইমধ্যে বনের জমিতে স্লুইচ গেট নির্মাণ নিয়ে এলজিইডি ও বনবিভাগ মুখোমুখি অবস্থানে। এই ঘটনায় বেড়েছে স্থানীয়দের মধ্যে দ্বন্দ্ব। সুরাহা হয়নি দীর্ঘদিন ধরে বাস করা দখলদারদের পুনর্বাসনের বিষয়টিও। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে নালিতাবাড়িতে রেকর্ড সংখ্যক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা হলেও বন্ধ হয়নি অবৈধ ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম।
পুলিশের সামনেই কুপিয়ে খুন, ট্রিপল মার্ডার, স্কুলের টয়লেটে ছাত্রের মরদেহ, স্বামীর হাতে স্ত্রী ও বাবার হাতে সন্তান হত্যা, সুদের জন্য শিশু অপহরণ ও জমি সংক্রান্ত সংঘর্ষে হত্যার মতো ঘটনায় বেশ নাড়া দিয়েছে শেরপুর। একই বছরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের পরিবর্তনে প্রত্যাশা বেড়েছে বহুগুণ। টক টু এসপি সেবা চালু করায় দ্রুত সেবা পেয়েছে সেবাপ্রার্থীরা। বছরের শেষের দিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির প্রত্যাশা পূরণ হলেও আগামী বছরে প্রত্যাশা বাড়বে জ্যামিতিক হারে। গণশুনানিতে গেলো বছরের তুলনায় মানুষের উপস্থিতি কমেছে; দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ততা বাড়লেও গত বছরের তুলনায় কমানো হয়েছে জনগণের অংশগ্রহণ। নতুন বছরে জনসেবায় জেলা প্রশাসন স্লোগানের দৃশ্যমান অগ্রগতির প্রত্যাশা জেলাবাসীর।
জ্বালানি তেলের দামবৃদ্ধিতে শেরপুরের বেড়েছে সব পণ্যের। সে হিসাবে বাড়েনি শ্রমিকের বেতন। জেলার একমাত্র স্থলবন্দর নাকুগাঁওয়েও ছিল শ্রমিক-মালিক দ্বন্দ্বের জের। কর্মবিরতির পর তাদের মজুরি বাড়লেও জেলাজুড়ে দিনমজুরের মাইনে বাড়েনি। গলার কাঁটা ইজিবাইকের ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুণ। যানজট নিরসনে কথা রাখেনি শেরপুর পৌরসভা। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পৌরসভার নজরদারি বাড়ানোর প্রত্যাশা এখনো পূরণ হয়নি শহরবাসীর। অথচ বাড়তি ইজিবাইকের জন্য বাড়তি ভাড়া গুনতে হয়েছে যাত্রীদের। স্বল্প দূরত্বে ভাড়া হয়েছে দ্বিগুণ, যানজট ও শব্দ দূষণ বেড়েছে কয়েকগুণ।
নামমাত্র মশক নিধন কার্যক্রমেও অসুস্থ হয়েছে শহরবাসী। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলেও বাসা-বাড়ির ট্যাক্স বেড়েছে ঠিকই। জলাবদ্ধতা পিছু না ছাড়লেও, ময়লার ভাগাড় হয়েছে অষ্টমীতলায়। আমনকুড়া বিল দখলমুক্ত না হলেও কয়েকদিনের জন্য ফুটপাত দখলমুক্ত হয়েছে। মৌসুমি ফল বিক্রেতা, মোবাইল সিম বিক্রেতা আর হকারদের জন্য বরাদ্দ না থাকলেও ফুটপাত দখল করে দেদারসে চালছে ব্যবসা। গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে হকারদের পদচারণা থামেনি এবছরও।
নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই শেরপুরে চলছে অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম। ভাটার কারণে আবাদি জমিসহ পরিবেশ দূষণ বাড়ছে প্রতিনিয়ত। বাড়ছে শ্বাসকষ্টজনিত রোগ-বালাই। কৃষি জমির ওপরিভাগ কেটে ভাটায় ব্যবহারে উর্বরতা হারাচ্ছে আবাদি জমি। নাকের ডগায় এসব কর্মকাণ্ড চললেও এসব বন্ধে স্থায়ী কোনো নির্দেশনা বা পদক্ষেপ নেই এবছরও।
শুধু পাথর আমদানিতেই সীমাবদ্ধ এখনো নাকুগাঁও স্থলবন্দর। সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে এখনো বন্ধ হয়নি অবৈধভাবে ভারতীয় গরুর চোরাচালান। বড় কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম না থাকলেও বেড়েছে সুদের মহাজনদের বাণিজ্য। তিন বছরেও শেষ হয়নি জামালপুর-শেরপুর-বনগাঁও আঞ্চলিক সড়কের কাজ। দিনদিন বাড়ছে ভোগান্তি; বছরের শেষ সময়ে শুরু হয়েছে খোয়ারপাড় থেকে শহর হয়ে থানা মোড়ের সংযোগ সড়কের কাজ। সজবরখিলা পর্যন্ত প্রশস্তকরণের মতো শহরের বাকি সড়কের প্রশস্তকরণ কাজের প্রত্যাশা শহরবাসীর। এতে পৌরসভার ড্রেন ভাঙা পড়লেও যানজটের সমস্যার লাঘবের সহায়ক হবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা। এছাড়া শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টারে আশা জেগেছে তরুণদের মনে।
জেলাজুড়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচন ঘিরে উত্তাপ থাকলেও ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে দলীয় গ্রুপিং প্রকাশ্যে আসে। আসন্ন নির্বাচনে প্রতিবারের মতো প্রতি আসনে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী থাকলেও কেন্দ্রীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নেই ব্যস্ত সময় পার করেছে বিএনপি। জাতীয় পার্টি নিজেদের সুসংহত করার চেষ্টা চালালেও প্রার্থীর বিষয়ে নিশ্চিত করেনি কেউই। পাল্টেছে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, রদবদল হচ্ছে পুরো কমিটিতেও। বিএনপির তরুণ প্রার্থী থাকলেও জ্যৈষ্ঠদের ওপর ভরসা রাখছে আওয়ামী লীগ।
বিদায়ী বছরের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির বিষয়ে খরমপুর এলাকার রিকশাচালক মজনু মিয়া বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। দিন কামাই করি, দিন খাই। এবছর যিমুন যাবো ভাবছিলাম, অমুন যায় নাই। এক বছরে শহরের চেহারা এল্লাও পালটে নাই। মাইনষের পকেটে টেহা (টাকা) থাকলেও কিপটামি কইরাই দিন পার দিতাছে। সামনে নাহি আহাল আবো (আকাল আসবে), ওইদিনের লাইজ্ঞা আমরা না ভাবলেও ধনীরা ঠিগি ভাবতাছে। আল্লাহ যা করবো, তাতেই খুশি আমরা।’
খোয়ারপাড় এলাকার মুদি দোকানি রাজন মিয়া বলেন, করোনার পর সব দেশেই মন্দা। আমাদের দেশেও একই হাল। তবে সরকার যেহেতু পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল করতে পারতেছে, আমাদের শেরপুরেও দুই-একটা উন্নয়ন কাজ করা দরকার।
শহরের খরমপুর মহল্লার বাসিন্দা জুলফিকার হাসনাত হাসু বলেন, শহরের নিউমার্কেট থেকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত যেতে এখন সময় লাগে ২০-২৫ মিনিট। অথচ দেড় কিলোমিটারের এই রাস্তাটুকু যাতায়াতে সময় লাগার কথা মাত্র পাঁচ-সাত মিনিট। এতে আমাদের সময়ের অপচয় হচ্ছে। জ্যাম কমাতে ইজিবাইক না কমিয়ে ভাড়াই ডাবল করে দেওয়া হইছে। এটা সাধারণ যাত্রীদের জন্য অন্যায়। ছোট শহরে এত ভাড়া! এটা ঠিক না।
শেরপুর জেলা উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, শেরপুর জেলায় কোনো উন্নয়ন হয়নি। শেরপুর জেলার পরিচয় দিলে মানুষ বিভ্রান্ত হয়, জানতে চায় এটি কোন জেলা।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় একমাত্র শেরপুর জেলা বঞ্চিত। আওয়ামী লীগ সরকারকে বারবার শেরপুর জেলার জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলেও শেরপুরের কোনো উন্নয়ন হয়নি।
প্রধানমন্ত্রীকে সড়কপথে শেরপুর জেলা সফর করার আহ্বান জানিয়ে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আপনি একদিন সরজমিনে পর্যবেক্ষণ করুন। আপনার উন্নয়নের সামান্যতম ছিটেফোঁটাও শেরপুরে পড়েছে কী না, দেখুন।
আগামীতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি এবং শেরপুরে জনসভার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর শেরপুর জেলার উন্নয়নে স্মারকলিপি দেওয়ার কথাও জানান তিনি।
শেরপুর পৌরসভার মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন বলেন, নিয়ম বহির্ভূতভাবে ইউনিয়ন পরিষদ ইজিবাইক ও অটোরিকশার লাইসেন্স দিচ্ছে। এটির কারণে শহরে যানজট বাড়ছে। আমরা মাঝে-মধ্যেই অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ ইজিবাইক জব্দ করছি। আশা করছি, শিগগির শহরে যানজট কমবে। আর জলাবদ্ধতা নিরসনে নিয়মিত কাজ করা হচ্ছে, আশা করি দ্রুতই এর সমাধান হবে। মশক নিধনেও নিয়মিত কাজ করছে শেরপুর পৌরসভা।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর বলেন, স্থলবন্দর দিয়ে কী কী পণ্য আমদানি-রপ্তানি হবে তা এনবিআর নির্ধারণ করে থাকে। স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ শুধু ফ্যাসিলিটিগুলো ডেভেলপ করে দেয়। এনবিআর তাদের পর্যবেক্ষণ ও চাহিদার ওপর ভিত্তি করে পণ্য আমদানির বিষয়টি নির্ধারণ করে থাকে। আমরা এনবিআরকে ব্যবসায়ীদের বিষয়টি জানাবো। তারা এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবেন।
বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন বলেন, শেরপুরের পর্যটনকেন্দ্রগুলোর আধুনিকায়ন ও উন্নয়নে সরকারের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এখানে একটি আধুনিকমানের পর্যটন মোটেল নির্মাণ করা হবে।
তিনি বলেন, শেরপুরের পর্যটনের বিকাশে জেলা প্রশাসন থেকে পাঁচ একর জমির সম্ভাব্যতা যাচাই ও পরিদর্শন করা হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু হবে। নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের বিষয় নিয়েও কাজ করা হচ্ছে।
এদিকে, নাকুগাঁও স্থলবন্দরের পণ্য আমদানি জটিলতা সমাধানে দ্রুতই উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। তিনি বলেন, এখানকার অবকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই ভালো। শুল্ক এবং ফি মিলে এখানে প্রায় ১০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। এটি আমাদের জন্য বেশ ইতিবাচক। এখানকার স্থানীয় ব্যবসায়ীদের আমদানির বিষয়টি নিয়ে আমরা এনবিআরের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবো।
শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বলেন, দ্রুত সেবা নিশ্চিত করতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে দুইটি হটলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। এরইমধ্যে টক টু এসপির মাধ্যমে ভুক্তভোগীরা সেবা পাওয়া শুরু করেছে। আমরা জনগণকে অনুরোধ করতে চাই, আপনাদের যেকোনো সমস্যার কথা সরাসরি আমাদের জানান। বিট পুলিশিং সেবার মাধ্যমে বা হটলাইনে কল দিয়ে জানালে আমরা তথ্যদাতার নাম-পরিচয় গোপন রেখেই সেবা দেবো। আর নিয়মিত মামলার বিষয় হলে, মামলা নিয়ে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে জেলা পুলিশ বদ্ধ পরিকর।
শেরপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সাহেলা আক্তার বলেন, এরইমধ্যে শেরপুর জেলায় থাকা ইটভাটাগুলোর মধ্যে অবৈধগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলো চিহ্নিত করে নীতিমালা অনুসরণ করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো শুরু হয়েছে। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। আর বনভূমি শেরপুরের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমআরআর/এএসএম