অভিনব প্রতারণা
যারা বিক্রেতা তারাই ক্রেতা
যশোরে ক্রেতা ও বিক্রেতা সেজে প্রতারণার অভিযোগে সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। একই সঙ্গে সাড়ে তিন লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতার ব্যক্তিদের বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তারা হলেন নোয়াখালীর চাটখিল থানার ফতেপুর গ্রামের জাকির হোসেন, ফারুক, হোসেন; ফেনী সদর উপজেলার সরিষাদি বাজার এলাকার ওবায়দুল হোসেন, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানার উচাই গ্রামের আলম মোল্লা ওরফে সুশান্ত, কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ থানার প্রতাপপুর গ্রামের রবিউল আওয়াল ও গোপালগঞ্জের মকসুদপুর থানার কোহালদিয়া গ্রামের পারভেজ হোসেন।
যশোর পিবিআই জানায়, গত ১৫ ডিসেম্বর অভিযুক্ত জাকির ও ফারুক প্রথমে যশোর সদরের পুলেরহাটে রিয়াদ হোসেন রাকিবের দোকানে যান। সেখানে হাজী কামাল কেমিক্যাল কোম্পানির লোক পরিচয় দিয়ে কিছু কোম্পানির মালামাল বিক্রির জন্য রেখে আসেন। পরদিন আসামি রবিউল আউয়াল ও ওবায়দুল ক্রেতা সেজে ওই মালামাল বাদীর দোকান থেকে কিনে নিয়ে আসেন। এরপর অভিযুক্ত জাকির ও ফারুক পুনরায় রিয়াদ হোসেন রাকিবের দোকানে আরও মালামাল রেখে আসেন।
এরপর থেকে অভিযুক্ত হোসেন, আলম মোল্লা ওরফে সুশান্ত, পারভেজ ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজন ক্রেতা সেজে রাকিবের দোকানে গিয়ে জাকির ও ফারুকের দেওয়া মালগুলো কিনে নিয়ে আসতেন। সবশেষ তারা রাকিবের দোকানে গিয়ে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকার মাল কেনার অর্ডার দেন। রাকিব অর্ডার মোতাবেক ২২ ডিসেম্বর নগদ দুই লাখ দুই হাজার টাকা দিয়ে মাল কিনে দোকানে রাখেন। কিন্তু অভিযুক্ত হোসেন, আলম মোল্লা ওরফে সুশান্ত, পারভেজ, রবিউল আউয়াল ও ওবায়দুল অর্ডার দেওয়া মাল কিনতে আসেননি।
তারা না এলে রিয়াদ অভিযুক্তদের দেওয়া মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করেন। কিন্তু অভিযুক্তরা তাদের অর্ডার দেওয়া মাল না কিনে বিভিন্ন টালবাহানা করে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন। এরপর রিয়াদ হোসেন রাকিব পিবিআই পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার যশোর সদর উপজেলা থেকে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়।
পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় বুধবার যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে।
মিলন রহমান/এসআর/জিকেএস