শীতে কাঁপছে চা বাগানগুলো, রোগে ভুগছেন শ্রমিকরা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মৌলভীবাজার
প্রকাশিত: ০২:৪৪ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০২২

গুমোট আবহাওয়ায় তিনদিন ধরে মৌলভীবাজারে সূর্যের দেখা মিলছে না। কুয়াশার ঘোমটা পড়ে আছে সবুজ প্রকৃতি। কনকনে শীতে কাঁপছে জেলার চা-বাগানগুলো। তবে শীত উপেক্ষা করেই কাজে যেতে হচ্ছে চা-শ্রমিকদের।

এদিকে, শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টে আছেন শ্রমিকরা। শীতজনিত সর্দিকাশি, ডায়রিয়াসহ শ্বাসকষ্টে ভুগছেন তারা। এমন আবহাওয়াতেও চা শ্রমিকদের নিয়মিত হাজিরা দিতে হচ্ছে।

চা শ্রমিকরা জানিয়েছেন, শীতজনিত রোগে ভুগছেন তারা। শীতার্তরা শীতে কাঁপলেও বাগান কর্তৃপক্ষ সাহায্যের হাত বাড়ায়নি।

jagonews24

তবে চা বাগানের কর্মকর্তারা বলছেন, শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য কোম্পানি থেকে এখনো তাদের কোনো বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। তাই তারা শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে পারছেন না।

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে মৌলভীবাজারের লংলাভ্যালির চা বাগান ঘুরে এমন তথ্য জানা গেলো। ওই ভ্যালির ৩৪টি বাগানে প্রায় ১১ হাজার চা শ্রমিক কাজ করেন।

লংলাভ্যালির করিমপুর চা বাগানের শ্রমিকরা বললেন, কয়েকদিন ধরে আকাশে সূর্যের দেখা মিলছে না। বিপর্যস্ত অবস্থায় শীতে কাঁপছেন চা বাগানের বাসিন্দারা। ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শ্রমিক পরিবারের নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা।

শীতে কাঁপছে চা বাগানগুলো, রোগে ভুগছেন শ্রমিকরা

কথা হয় করিমপুর বাগানের চা শ্রমিক জাবেদ আলীর সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, তিনদিন ধরে গুমোট আবহাওয়ায় প্রচণ্ড শীত নেমেছে। এতে কাঁপছে শ্রমিক বসবাসের সেকশনগুলো। কর্তৃপক্ষ আমাদের এখনো কোনো শীতবস্ত্র দেয়নি। আমরা শীতেও কাঁপছি, রোগেও ভুগছি।

চা শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক দীপংকর ঘোষ জাগো নিউজকে বলেন, প্রকৃতির বিরূপ প্রভাবে সারাদিন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে চা বাগান। এতে প্রচণ্ড শীত নামে। শ্রমিকদের ভাগ্যে কখনো শীতবস্ত্র জোটেনি।

শীতে কাঁপছে চা বাগানগুলো, রোগে ভুগছেন শ্রমিকরা

তবে লংলাভ্যালি চা শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি সাইদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় শ্রমিকদের কাজের বিষয়ে অনেকটা অঘোষিত ছাড় দেওয়া হয়। হাজিরা না দিলে মজুরি কাটা হয় ঠিকই, তবে সমস্যার কথা বলে সরদারের কাছ থেকে ছুটি নেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।

ইটা চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক আদিল আহমদ বলেন, শীতবস্ত্র বিতরণে কোম্পানি আমাদের কোনো বরাদ্ধ দেয়নি। বরাদ্ধ দিলে শ্রমিকদের শীতবস্ত্র পৌঁছে দেবো।

আব্দুল আজিজ/এমআরআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।