লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের স্বজনরা পেলেন আর্থিক সহায়তা
ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে নৌ-দুর্যোগ তহবিল ট্রাস্টি বোর্ড। ডি এন এ পরীক্ষার মধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া ১৪ নিহতের পরিবারকে দেড় লাখ টাকা করে মোট ২১ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী সম্মেলন কক্ষে এ অনুদানের চেক প্রদান করেন বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান।
জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, চাকরি জীবনে এমন মর্মান্তিক দৃশ্য আমি দেখিনি। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় সংশ্লিষ্টরা ছাড়া এর কষ্ট কেউ অনুভব করতে পারবে না। এরই অংশ হিসেবে এই পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। লঞ্চ দুর্ঘটনা থেকে এড়াতে জেলা প্রশাসন সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট অব্যাহত থাকবে।
গত বছরের ডিসেম্বর মাসের ২৩ তারিখ মধ্যরাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের ইঞ্জিন রুম থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো লঞ্চে। আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যায় ৪৯ যাত্রী।
যার মধ্য থেকে ২৬ যাত্রীর মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অন্য ২৩ মরদেহের শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে যাওয়ায় শনাক্ত করা যায়নি। শনাক্ত না হওয়া মরদেহগুলোর নমুনা সংগ্রহ করে রেখে বরগুনা সদর উপজেলার পোটকাখালী গণকবরে অজ্ঞাত পরিচয় দাফন করা হয়। দাফন করা ২৩ মরদেহের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় শনাক্তের জন্য ৪৭ জন স্বজনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা সিআইডির একটি প্রতিনিধি দল। সিআইডি থেকে চলতি বছরের জুলাই মাসে অজ্ঞাত পরিচয় দাফন হওয়া ১৪ মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করেন।
জেএস/এমএস