রংপুর সিটি নির্বাচন

সাড়ে ৪টার ভোট কয়টায় শেষ?

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক রংপুর
প্রকাশিত: ০৫:৩০ পিএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল সাড়ে ৮টায়। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী শেষ হওয়ার কথা বিকেল সাড়ে ৪টায়। তবে এখন পর্যন্ত অনেক কেন্দ্রে ভোটারদের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এসব কেন্দ্রে শেষ হয়নি ভোটগ্রহণ। কখন এই ভোটগ্রহণ শেষ হবে তা নির্দিষ্ট করে বলাও সম্ভব হচ্ছে না।

বিকেল ৫টায় আশরতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রংপুর মেট্রোপলিটন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আলমনগর স্টেশন রোড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কিছু কেন্দ্রে গিয়ে ভোটারদের উপস্থিতি চোখে পড়ে। ইভিএমের নানা ত্রুটির কারণে এমনটা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভোটাররা।

মেট্রোপলিটন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের ভোটার মকবুল হোসেন বলেন, ‘দুপুর ১২টায় লাইনে দাঁড়ানোর পরও ভোট দিতে পারিনি। আরও এক ঘণ্টার মতো অপেক্ষা করতে হতে পারে।’

লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের ভোটার আসলাম পারভেজ বলেন, ‘বেলা ১১টার দিকে একবার এসে একঘণ্টা অপেক্ষা করে ফিরে গেছি। এরপর বিকেল ৩টার দিকে আবারও এসেছি। এখন পর্যন্ত ভোট দিতে পারিনি।’

রংপুর সিটি নির্বাচন, সাড়ে ৪টার ভোট কয়টায় শেষ?

আশরতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটার আলতাব হোসেন বলেন, ‘এর চেয়ে ব্যালটে ভোট দিলে এত বিড়ম্বনায় পড়তে হতো না। ব্যালটে ভোটগ্রহণের সময় বড় জোর নির্ধারিত সময় পেরিয়ে আধাঘণ্টা বা একঘণ্টা অতিক্রম হতো। কিন্তু ইভিএমে এরচেয়ে তিন-চার গুণ বেশি সময় লাগছে।’

লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শাহালম জাগো নিউজকে বলেন, বয়স্কদের ভোট দিতে অনেক সময় লাগে। এছাড়া অনেকে জোরে বাটনে চাপ দেন। ফলে ইভিএম লক হয়ে যায়। এ কারণে ভোটারদের ভোট দিতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিটি সাধারণ ভোটকেন্দ্রে একজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ দুজন কনস্টেবল, দুজন অস্ত্রধারী আনসার, ১০ জন আনসার-ভিডিপির সদস্যসহ মোট ১৫ জনকে মোতায়েন করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ৮৬টি ভোটকেন্দ্রে একজন পুলিশ কর্মকর্তা তিনজন কনস্টেবল, দুজন অস্ত্রধারী আনসার ও ১০ জন আনসার-ভিডিপির সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে। নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডে ১১ প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাবের ১৭টি টিম, পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে মোবাইল ফোর্স, ১১টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও ছয়টি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স কাজ করছে।

এছাড়া নির্বাচনে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডের জন্য ৩৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১৬ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। এর পাশাপাশি ২২৯টি কেন্দ্রের সবগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার সঙ্গে সঙ্গে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং হচ্ছে।

এবার মেয়র পদে জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) শফিয়ার রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল রাজু, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির আবু রায়হান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেহেদী হাসান বনি ও লতিফুর রহমান মিলন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এছাড়া সংরক্ষিত ১১টি ওয়ার্ডে ৬৮ এবং ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৮৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

জিতু কবীর/এসজে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।