শিশু পরশমণি হত্যার ৪ বছর পর রহস্য উদঘাটন
দীর্ঘ প্রায় চার বছর পর নেত্রকোনার মদনে স্কুলছাত্রী পরশমণি (৯) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পিবিআই।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে নেত্রকোনা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এ তথ্য জানায়।
নিহত পরশমণি মদনের কদমশ্রী গ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়ে এবং কদমশ্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। ২০১৮ সালের ১৪ এপ্রিল তাকে হত্যা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নেত্রকোনা পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহীনুর কবির বলেন, ২০১৮ সালের ১৪ এপ্রিল সন্ধ্যার দিকে পরশমণি তার ছোট ভাইকে নিয়ে প্রতিবেশী জুয়েল মিয়ার বাড়ির সামনে খেলা করছিল। এ সময় আরেক প্রতিবেশী জোবায়ের রহমান (২৩) শিশুটিকে প্রলোভন দেখিয়ে কাছের একটি ঝোপে নিয়ে যান। সেখানে তাকে জোর করে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। কিন্তু শিশুটি চিৎকার শুরু করলে তাকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন তিনি। পরে ওই দিন রাতে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে জোবায়ের শিশুটিকে খোঁজাখুঁজির অভিনয় করেন। রাত ১২টার দিকে তিনি শিশুটির মরদেহ সেখান থেকে পাশের একটি বিলে ফেল রাখেন। পরদিন পরশমণির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনার পরদিন নিহতের বাবা অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা করেন। সেখান থেকে এক বছর পর মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে না পেরে ২০২০ সালের নভেম্বরে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুর কবির আরও বলেন, বাদীর নারাজির প্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ২৬ নভেম্বর আদালত মামলাটি নেত্রকোনা পিবিআইকে তদন্তভার দেন। পরে পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. নুরুল ইসলাম খান মামলাটির তদন্ত করে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেন।
পরিদর্শক মো. নুরুল ইসলাম খান বলেন, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার ও তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে নিবিড়ভাবে বিশ্লেষণ করে ক্লুলেস এ চাঞ্চল্যকর মামলার রহস্য উদ্ঘাটনসহ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় নেত্রকোনা শহরের সাতপাই এলাকা থেকে আসামি জোবায়েরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে রোববার বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারকের কাছে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এইচ এম কামাল/জেএস/এএসএম