হোটেল-মোটেলে রুম সংকট

সাজেকের রাস্তায় রাত কাটালেন পর্যটকরা

সাইফুল উদ্দীন সাইফুল উদ্দীন রাঙ্গামাটি
প্রকাশিত: ০৬:৩৪ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২
সাজেকে জিপ গাড়ির দীর্ঘ সারি

তিন দিনের সরকারি ছুটিতে মেঘের রাজ্য খ্যাত রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে পর্যটকের উপচেপড়া ভিড় পড়েছে। ধারণ ক্ষমতার বেশি পর্যটক আসায় হিমশিম খেতে হয় রিসোর্ট-কটেজ মালিকদের। রুম না পেয়ে অনেকেই রাত কাটিয়েছেন রিসোর্ট-কটেজের বারান্দা এবং রাস্তায়। আবার কেউ গাড়িতেই রাত পার করেছেন।

পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানান, সাপ্তাহিক ও বড়দিনের ছুটি উপলক্ষে মাসখানেক আগে থেকেই সাজেকের সবকটি রিসোর্ট-কটেজের শতভাগ বুকিং হয়ে যায়। যারা আগে বুকিং না দিয়ে শুক্রবার সাজেকে এসেছেন তারা কোথাও কক্ষ খালি পাননি। ফলে অনেকেই বিকেলে ফেরত চলে গেছেন।

যারা ছিলেন তারা সন্ধ্যা অবধি কোথাও রুম না পেয়ে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করেন। পরে সাজেক রুইলুই পর্যটনকেন্দ্র রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে মাইকিং করে পর্যটকদের লুসাই ক্লাব ঘরে যেতে বলা হয়। সেখানে কিছু পর্যটকের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। এরপরও যাদের থাকার ব্যবস্থা হয়নি তাদের কেউ কেউ পাশের ত্রিপুরা পল্লির বাসাবাড়িতে আশ্রয় নেন। আবার কেউ কেউ রাস্তায় থেকেছেন। কেউবা গাড়িতেই ঘুমিয়ে পড়েন।

সাজেক চাঁদের বাড়ি রিসোর্টের ব্যবস্থাপক ইয়াছিন রাসেল বলেন, আমাদের রিসোর্টগুলো অনেক আগে থেকেই বুকিং হয়ে আছে। এ মাস সম্পূর্ণ বুকিং। টানা ছুটিতে বাড়তি পর্যটক আসায় অনেকে কটেজে জায়গা পায়নি। তাই রাস্তায় কিংবা বিভিন্ন কটেজের বারান্দায় রাত কাটান অনেকে।

সাজেক জিপ সমিতির লাইনম্যান ইয়াসিন আরাফাত বলেন, শুক্রবার প্রায় ৩৫০টির মতো গাড়ি সাজেকে ঢুকেছে। যারা ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে এসেছেন কিন্তু রুম আগে থেকে বুকিং দেননি তাদের অনেকে বিকেলেই ফিরে গেছেন। যারা রুম পাননি তাদের বাইরে থাকতে হয়েছে বলে শুনেছি। শুক্রবার যারা এসেছিলেন তাদের ৮৫ শতাংশ আজ সকালে চলে গেছেন। আজও ২০০টির মতো জিপ এবং ৫০টির মতো ব্যক্তিগত গাড়ি সাজেক ঢুকেছে। আজ পরিস্থিতি হয়তো শুক্রবারের মতো হবে না।

সাজেক রিসোর্ট মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি চাইথোয়াই অং চৌধুরী জয় জাগো নিউজকে বলেন, টানা তিনদিনের বন্ধের কারণে প্রচুর পরিমাণ পর্যটক চলে আসাতে শুক্রবার পর্যটকদের থাকার ক্ষেত্রে অসুবিধা হয়েছিল। আমরা মাইকিং করে লুসাই ক্লাব ঘরসহ আশপাশের কিছু বাসাতে পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এরপরও কিছু পর্যটককে কটেজগুলোর বারান্দায় থাকতে হয়েছে। আজ তেমন কোনো চাপ দেখা যাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, সাজেকে ১১২টি কটেজের ধারণ ক্ষমতা তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার মানুষ। কিন্তু শুক্রবার প্রায় ৫ হাজারের মতো পর্যটক সাজেক এসেছে।

এসজে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।