মানিকগঞ্জে ভাগ্নের হাতে দুই মামা খুন


প্রকাশিত: ০৪:৩৩ এএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

পারিবারিক কলহের জের ধরে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার গোবিন্দল গ্রামে ভাগ্নের হাতে দুই মামা খুন হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও এক মামা ও মামাতো ভাই। রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- আজিজ মোল্লা (৫৫) ও টেন্ডল মোল্লা (৫০)। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও টেটাবিদ্ধ করে তাদের হত্যা করা হয়। ঘটনার পর থেকে ভাগ্নেরা বাড়ি ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে পালিয়ে গেছে।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত টেন্ডল মোল্লার বোন হাসিনা বেগম পাঁচ মাস আগে নিঃসন্তান অবস্থায় বাহরাইনে মারা যান। তার বোন রিজিয়ার ছেলে রশিদ একই সঙ্গে বাহরাইনে চাকরি করতেন। হাসিনার উপার্জিত টাকা-পয়সা ও গ্রামের বাড়িতে রেখে যাওয়া জমিজমা ভাগ্নে রশিদ, জাহিদুল ও জসিমরা হাতিয়ে নেয়। এই অর্থ ও সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে টেন্ডলের সঙ্গে ভাগিনাদের বিরোধের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে এ নিয়ে ভাগিনাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন টেন্ডল। এর পরিপ্রেক্ষিতে টেন্ডলকে সাড়ে তিন লাখ টাকা ও জমির অংশ ফেরত দেয়ার রায় দেন থানা পুলিশ।

কিন্তু সেই রায় মানেননি ভাগ্নেরা। এর জের ধরে মামাদের সঙ্গে ভাগিনাদের একাধিকবার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় টেন্ডলকে ভাগিনারা হাতুড়ি দিয়ে পেটায়।

এ নিয়ে রোববার সকালে শালিসী বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে টেন্ডল ও তার ভাই আ.করিম, চাচাতো ভাই আজিজ ভাগ্নেদের বাড়িতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ভাগ্নে জাহিদুল, রশিদ ও জসিমসহ ৭-৮ জন মামাকে ঘরে তুলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় এবং টেটাবিদ্ধ করে। এতে ঘটনাস্থলেই টেন্ডল মোল্লা ও আ.আজিজ মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় আ.করিমকে সাভারের এনাম ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে র‌্যাব-৪, পিবিআইসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন জানান, ঘটনাস্থল থেকে নিহত দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা ঘটিয়ে ঘাতকরা পালিয়ে গেছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

বিএম খোরশেদ/এসএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।