নারী ইউপি সচিবকে কিল-ঘুষি মারার অভিযোগে সদস্য আটক
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সচিবকে কিল-ঘুষি মারাসহ শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার অভিযোগে এক ইউপি সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় দুই নারী গ্রাম পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে মুশুদ্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
পরে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হলে অভিযুক্ত ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. তোফাজ্জল হোসেন তুলাকে আটক করেছে ধনবাড়ী থানা পুলিশ। বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলাজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
লাঞ্ছিত ইউপি সচিব বলেন, চেয়ারম্যানের সঙ্গে তার কক্ষে আলোচনা চলছিল। এ সময় একাধিক ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। কথা বলার এক পর্যায়ে তুলা মেম্বার ক্ষিপ্ত হয়ে অতর্কিতভাবে আমার ওপর হামলা করে কিল-ঘুষি মারতে-মারতে বাইরে আনেন। এ সময় তাকে বাধা দিতে যাওয়ায় রহিমা খাতুন ও পারুল আক্তার নামের দুই গ্রাম পুলিশ সদস্যকেও আহত করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, অন্য ইউপি সদস্যরা আমাকে এ সময় উদ্ধার করে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তুলা মেম্বার বিভিন্ন সময় আমাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। রাজি না হওয়ায় আমার ওপর ক্ষিপ্ত তিনি। আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করছি।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ও ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. তোফাজ্জল হোসেন তুলা বলেন, সচিব আগে আমাকে থাপ্পড় মেরেছেন। এ কারণে আমি তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করি।
নারী ইউপি সচিবকে লাঞ্ছিত করার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মুশুদ্দি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু কায়সার।
তবে ধনবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, নারী ইউপি সচিব ও সদস্যের বাগবিতণ্ডার একটি ঘটনা ঘটেছিল। তবে ইউপি সচিব কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি।
এ বিষয়ে ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসলাম হোসাইন জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। নারী ইউপি সচিব হেনস্তা করার কথা বললেও ইউপি সদস্য বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। পরে নারী ইউপি সচিবের অভিযোগের ভিত্তিতে থানা পুলিশ ওই ইউপি সদস্যকে আটক করে। পরিবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
আরিফ উর রহমান টগর/এফএ/জেআইএম