ক্ষেতে কীটনাশক দিয়ে পাখি হত্যা, ঝুলিয়ে রাখা হলো লাঠিতে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: ১২:৫৯ পিএম, ২২ ডিসেম্বর ২০২২

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আলিয়ার বাকড়ি গ্রামের মাঠে গমক্ষেতে কীটনাশক প্রয়োগ করে অর্ধশতাধিক পাখি হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বাকড়ি গ্রামের কৃষক মো. মুন্নু গেলো কয়েকদিনে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। মৃত্যুর পর ওই পাখিগুলোকে তিনি লাঠির সঙ্গে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখেন।

জানা যায়, প্রায় ১০ দিন আগে নিজের ১৮ কাঠা জমিতে গমের বীজ বপন করেন স্থানীয় কৃষক মুন্নু। এরপর সেখানে শালিক, ঘুঘুসহ অন্য পাখি বসে অনেক বীজ খেয়ে ফেলে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই কৃষক জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করেন। ফলে কীটনাশক মেশানো গম খেয়ে একের পর এক পাখি মারা যেতে থাকে। এরপর মৃত পাখিগুলোকে রশি দিয়ে লাঠিতে বেঁধে ক্ষেতেই ঝুলিয়ে রাখেন তিনি। অনেক পাখিই এরইমধ্যে পচে গেছে, কোনোটি আবার শেয়ালে নিয়ে গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান, গমের সঙ্গে কীটনাশক প্রয়োগের ফলে সেই গম খেয়ে পাখিগুলো মারা গেছে। কিছু পাখি পচে গেছে, কিছুতে পচা গন্ধ বের হচ্ছে, আবার অনেক পাখি কাক-শেয়ালে নিয়ে গেছে। পাখি হত্যা যেখানে অপরাধ সেখানে এভাবে ঝুলিয়ে রাখা হৃদয়বিদারক ঘটনা।

jagonews24

এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত কৃষক মুন্নু বলেন, ক্ষেতে গম বীজ ছিটানোর পর পাখিগুলো বসে তা খেয়ে ফেলছিল। তাই বীজ রক্ষার জন্যই কীটনাশক দেওয়া হয়েছিল, আর সেগুলো খেয়ে পাখি মরেছে। তবে অন্য পাখি যেন ক্ষেতে আর না বসে এজন্য মৃত পাখিগুলো ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

ঝিনাইদহ বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, পাখি হত্যা করা অপরাধ। আমি একটি ট্রেনিংয়ের কাজে যশোরে এসেছি। এ বিষয়ে পরে আপনার সঙ্গে কথা বলবো।

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, ফসলের ক্ষেতে কীটনাশক দিয়ে পাখি হত্যা অবশ্যই অপরাধ। এ ঘটনায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা হতে পারে। কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেবে।

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এমআরআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।