খাল থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন, জমি-বাড়িঘর ধসের শঙ্কা
বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় গ্রামীণ সড়ক সংস্কারে ড্রেজার বসিয়ে খাল থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে আশপাশে ফাটল দেখা দিয়েছে। আতঙ্কে আছে গ্রামবাসী। খালপাড়ের ফসলি জমি ও বাড়িঘর ধসের আশঙ্কা করছে তারা।
এ নিয়ে মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে বিক্ষোভ করেছেন ভুক্তভোগী গ্রামবাসী। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানোর পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তাদের।
গ্রামবাসী জানান, উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের বাঁশতলা বাজার সংলগ্ন সরকারি পুটিমারী খালে (এক সময়ের নদী) ড্রেজার বসিয়েছেন সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী মেম্বর জোছনা বেগমের ভাগনে মানিক। সড়ক সংস্কারে খালের ভূগর্ভস্থ থেকে বালু উত্তোলন করছেন তিনি। এর অনুমিত দিয়েছেন সুন্দরবন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একরাম ইজারাদার।
স্থানীয় আলমগীর শেখ, মালেকা বেগম, মাহিরা বেগম বলেন, ড্রেজার দিয়ে বালু তোলায় খালপাড়ের জমি ও বাড়িঘরে ফাটল ধরেছে। যেকোনো সময় ধসে যেতে পারে। প্রতিবাদ জানালেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
বালু উত্তোলনের বিষয়ে ড্রেজার মালিক মানিক বলেন, ‘আমাকে চেয়ারম্যান একরাম খাল থেকে বালু উত্তোলন করে রাস্তায় দিতে বলেছেন। তার কথা মতোই কাজ করছি।’
রাস্তার ঠিকাদার শহিদুল ফকির বলেন, ‘আমাকে চেয়ারম্যান একরাম ইজারদার ও পিআইও জাফর রানা যেভাবে বলেছেন আমি সেভাবেই কাজ করাচ্ছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান একরাম ইজারদার জাগো নিউজকে বলেন, ‘সরকারি খাল থেকে বালু উত্তোলন করা যাবে আর উত্তোলিত বালু রাস্তায়ও দেওয়া যাবে।’
তবে বালু তোলার বিষয়টি জানেন না উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. জাফর রানা। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, উত্তর বাঁশতলায় ২৭০০ ফুট (১ কিলোমিটার) ইটের সোলিং রাস্তা সংস্কারের জন্য ৯-১০ টন গম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আর ওই রাস্তায় কেনা বালু দিতে হবে। ড্রেজার দিয়ে বালু তোলার কথা না। এমন করছে আমার জানা নাই। বিষয়টি খতিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হাবিবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, সরকারি খালে ড্রেজার বসিয়ে বালু তোলা সম্পূর্ণ অবৈধ। সরেজমিন দেখে অতিসত্বর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে বিষয়টি দেখছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপংকর দাশ।
এসজে/এমএস