স্ত্রীর বদলি না হওয়ায় ক্ষোভ
শিক্ষা কর্মকর্তাকে মারধর, সাবেক শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেফতার
বরগুনা সদর উপজেলার শিক্ষ কর্মকর্তাকে অপহরণের পর মারধরের অভিযোগে বরগুনা সদর উপজেলা শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম পলাশকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এরআগে বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে বরগুনা সদর থানায় মামলা করেন আরিফুজ্জামান (৪৩) নামের ওই কর্মকর্তা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামি শহিদুল ইসলাম পলাশের স্ত্রী নুসরাত জাহান সুরভী বর্তমানে সহকারী শিক্ষক হিসেবে সদর উপজেলার খাজুরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত। তার স্ত্রী অনলাইনে বদলির আবেদন করেন। তবে ওই আবেদন বিধি অনুযায়ী বাতিল ও তার বদলি না হওয়ার কারণে শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফুজ্জামানের ওপর ক্ষিপ্ত হন পলাশ। এরপর বিভিন্ন সময়ে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকেন।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে পলাশ (৪৮) ও তার সঙ্গে থাকা অজ্ঞাতপরিচয় আরও দুজন ব্যক্তি কসমেটিকস গলির সৌখিন কসমেটিকসের দোকানের সামনে থেকে ওই শিক্ষা কর্মকর্তাকে একটি রুমে নিয়ে যান। এরপর তাকে বেধড়ক পিটিয়ে রুম থেকে বের করে দেন। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষা কর্মকর্তা ব্যবসায়ীদের সহায়তায় বরগুনা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে রাতে সদর থানায় মামলা করেন তিনি।
বরগুন সদর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আরিফুজ্জামান বলেন, এখন শিক্ষা অফিসের সব কার্যক্রম অনলাইনে সম্পূর্ণ হয়। বিধি অনুযায়ী শহিদুল ইসলাম পলাশের স্ত্রীর বদলির আবেদন বাতিল হয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে অপহরণ করে মারধর করেন ওই ব্যক্তি। আমি আমার নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মদ বলেন, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলের সিসি টিভির ফুটেজ ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত শুরু হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এরআগে ওই ব্যক্তি উপজেলা শিক্ষক অফিসে গিয়ে সেখানে জবরদস্তি করেন এবং ভাঙচুরের চেষ্টা চালান। আমার কার্যালয়ে এসেও আমার সঙ্গে জবরদস্তি করার চেষ্টা করছেন। বিষয়টি আইন অনুযায়ী সমাধান হবে।
এসআর/এএসএম