বিদ্যালয়ের প্রজেক্টর না দেওয়ায় শিক্ষককে মারধর
নওগাঁর ধামইরহাটে বিদ্যালয়ের প্রজেক্টর না দেওয়ায় একজন সহকারী শিক্ষককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে আনোয়ার হোসেন নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। এসময় বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র ও গ্লাস ভাঙচুর করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার খড়মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
আহত সহকারী শিক্ষক মারুফা ইয়াসমিনকে (৩৫) উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন (৪০) খড়মপুর গ্রামের মৃত মোজাফ্ফর রহমানের ছেলে।
এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক খেলুন সরদার ও আহত সহকারী শিক্ষক থানায় দুটি পৃথক অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগে সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে বিদ্যালয় চলাকালীন আনোয়ার হোসেন খড়মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খেলুন সরদারের কাছে বিদ্যালয়ের প্রজেক্টর চান। যেহেতু এটি সরকারি সম্পদ, সেজন্য প্রধান শিক্ষক তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এতে প্রধান শিক্ষককে গালিগালাজসহ দেখে নেওয়ার হুমকি দেন আনোয়ার।
বৃহস্পতিবা সকাল ৯টার দিকে অজ্ঞাতপরিচয় ৩-৪ জনকে সঙ্গে নিয়ে বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে খুঁজতে থাকে আনোয়ার হোসেন। তাকে না পেয়ে বিদ্যালয়ের চেয়ার, টেবিল ও গ্লাসসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর ও তছনছ করতে থাকেন। এসময় সহকারী শিক্ষক মারুফা ইয়াসমিন ও দপ্তরি কাম নৈশ্যপ্রহরী ইবাদত হোসেন এগিয়ে গিয়ে তাদের থামানোর চেষ্টা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আনোয়ার হোসেনসহ অন্যরা শিক্ষক মারুফা ইয়াসমিনকে মারধরসহ শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন।
এমনকী তাকে শ্বাসরোধ করারও চেষ্টা করা হয়। এসময় ওই শিক্ষকের চিৎকার শুনে বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যান। এ ঘটনায় প্রায় লক্ষাধিক টাকার মালামাল ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন বলেন, পারিবারিক বিষয় নিয়ে ওই শিক্ষকের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়েছে মাত্র। কোনো মারধর বা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আজমল হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও আহত সহকারী শিক্ষক থানায় অভিযোগ করেছেন। অন্যায়ভাবে শিক্ষককে মারপিট করার অপরাধে অবশ্যই দোষীদের শাস্তির দাবি জানাই।
ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মোজাম্মেল হক বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আব্বাস আলী/এসআর/জেআইএম