আশ্রয়ণের ঘর লাখ টাকায় বিক্রি!
সিলেটের জৈন্তাপুরে নিজ নামে বরাদ্দ পাওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘর এক লাখ টাকায় বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক নারীর বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানতে পেরে ঘর নিয়ে টাকা ফেরত দেওয়ার দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ক্রেতার স্ত্রী।
অভিযুক্ত ক্রেতার নাম শিরিন আক্তার। তিনি উপজেলার নিজপাঠ ইউনিয়নের মজুমদারপাড়ার আব্দুল মালেকের মেয়ে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) ঘর বিক্রেতা শিরিন আক্তার, স্থায়ী ইউপি সদস্যসহ তিনজনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ঘরটির ক্রেতা তাজুল ইসলাম মনুর স্ত্রী জেসমিন আক্তার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ১ নম্বর নিজপাট ইউনিয়নের গুয়াবাড়ি মৌজার অন্তর্ভুক্ত বিএস খতিয়ান নম্বর-১, নামজারি খতিয়ান নম্বর-৩০৬ ও বিএস দাগ নম্বর-৪০২ এর দুই শতক ভূমির ওপরে নির্মিত মুজিববর্ষের সরকারি ঘর ২০২১ সালের ১৯ জুন বুঝে পান শিরিন আক্তার। কিন্তু ঘর পাওয়ার পর ওই ঘর ও ভূমি তিনি নিজের উল্লেখ করে চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর তাজুল ইসলাম মনু ও তার স্ত্রী জেসমিন আক্তারের নামে অনিবন্ধিত দলিল করে বিক্রি করে দেন।
সেই দলিলে শিরিন আক্তার উল্লেখ করেন, বর্ণিত ভূমিতে মাটি কাটা, গর্ত ভরাট ও জঙ্গল আবাদ করে গৃহ নির্মাণ বাবদ এক লাখ টাকা খরচ হয়েছে। সেই খরচের ভিত্তিতে তিনি ঘরের দাম এক লাখ টাকা নির্ধারণ করে বিক্রি করেছেন। এছাড়া দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে তিনি এই জমির মালিক বলে দলিলে দাবি করেন শিরিন আক্তার।
জমির ক্রেতা জেসমিন আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, ‘কয়েকদিন ঘরে বসবাস করে জানতে পারি এটি সরকারি মুজিববর্ষের ঘর। বিষয়টি জানতে পেরে বিক্রেতা শিরিন আক্তারের কাছে গিয়ে ঘর ফেরত নিয়ে টাকা দিতে বলি। কিন্তু তিনি টাকা ফিরত দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে বিষয়টি এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ মুরুব্বিদের জানাই। এরপরও টাকা ফেরত না পাওয়ায় ইউএনওর কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছি।’
এ বিষয়ে জানতে সরকারি ঘর বিক্রেতা শিরিন আক্তারের সঙ্গে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
জৈন্তাপুর ইউএনও আল বশিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার তথ্য পেয়ে সরজমিন তদন্তের জন্য লোক পাঠানো হয়েছে। ঘর শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ছামির মাহমুদ/এসআর/এমএস