প্রেমিকার পরিবারের বিরুদ্ধে প্রেমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় প্রেমিকার পরিবারের সদস্যদের মারধরে সোহাগ আহমেদ (১৭) নামের এক কিশোরের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রেমিকার বাবা সাবেক ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমানকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে সোহাগের মৃত্যু হয়।
সোহাগ আহমেদ উপজেলার দিঘুলিয়া ইউনিয়নের নতুন ভোঁয়া এলাকার আখের আলীর ছেলে। সে এলাকায় তাঁত শ্রমিকের কাজ করতো।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দিঘুলিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমানের মেয়ের (নবম শ্রেণির ছাত্রী) সঙ্গে একই এলাকার সোহাগ আহমেদের প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানতে পেরে মেয়ের বাবা হাবিবুর রহমান ও ভাই সুজন মিয়া গত ২১ নভেম্বর সকালে প্রেমিক সোহাগ আহমেদের বাড়িতে গিয়ে তাকে বেদম মারধর করেন। পরে ওইদিন বিকেলেই প্রেমিক প্রেমিকা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
পরে মেয়ের বাবার অনুরোধে পালিয়ে যাওয়ার দুদিন পর গত ২৩ নভেম্বর তারা বাড়ি ফিরে আসে। পরদিন বাড়িতে ডেকে নিয়ে সোহাগকে দ্বিতীয় দফায় মারধর করা হয়। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই সোহাগের মৃত্যু হয়।
সোহাগের বাবা আখের আলী বলেন, ‘মেয়ের পরিবারের লোকজনের মারপিটের কারণেই আমার ছেলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের মারপিটের কারণেই আমার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করা হবে।’
সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় নিহতের দাদি বাদী হয়ে হত্যা মামলার প্রস্ততি নিচ্ছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রেমিকার বাবা সাবেক ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমানকে আটক করা হয়েছে।
বি.এম খোরশেদ/এসআর/এমএস