ছাত্রদল নেতার কবর জিয়ারতে যেতে বাধা

ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর গ্রামবাসীর হামলা, আহত ২০

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশিত: ০৯:৫৯ পিএম, ০৩ ডিসেম্বর ২০২২

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে নিহত ছাত্রদল নেতা নয়নের কবর জিয়ারত ও তার বাড়িতে বিএনপি নেতাদের যেতে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটে। একে ক্ষুব্ধ হয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীদের ওপর হামলা করেছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। এতে অন্তত ২০জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের চরশিবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- সোনারামপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মনির হোসেন ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মিজানুর রহমান, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ওরফে আয়নাল (৪৫), ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সভাপতি আইনউদ্দিন ভূঁইয়া, যুবলীগ কর্মী জয়নাল মিয়া (৪৫), আমির উদ্দিন (১৮), ফয়জন আলী (২৩), জাহিদুল হাসান (২২) ও রাসেল মিয়া (৩২)।

তারা বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে মনির, জয়নাল ও আনোয়ারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ, স্থানীয়রা জানান, নয়ন মিয়ার কবর জিয়ারত ও তার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করতে সায়দুজ্জামান কামালের নেতৃত্বে চরশিবপুর গ্রামে যান বিএনপি নেতাকর্মীরা। উপজেলার দশানি ঘাট অতিক্রম করে তারা চরশিবপুর ঘাটে পৌঁছলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মো. শাহিন ও তার লোকজন বিএনপির নেতাকর্মীদের বাঁধা দেন। বাঁধা অতিক্রম করে তারা চরশিবপুর গ্রামে পৌঁছে নয়নের কবর জিয়ারত করেন।

ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর গ্রামবাসীর হামলা, আহত ২০

বিএনপি নেতাদের বাঁধা দেওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে নয়নের গ্রামের লোকজন মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জড়ো হন। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহিন ও তার লোকজনের সঙ্গে চরশিবপুর গ্রামের লোকজনের সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে অন্তত ২০ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

উপজেলার ছাত্রদলের সদস্য সচিব লিটন খন্দকার বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহিন লোকজন নিয়ে আমাদের বাঁধা দেন। খবরটি শুনে গ্রামের লোকজন মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহিন বলেন, আমরা বিএনপির নেতাকর্মীদের বাঁধা দেইনি। গ্রামের লোকজন ভেতর থেকে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।

বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম বলেন, আহত দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গ্রামের লোকজনের সঙ্গে চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্বের জেরে সংঘর্ষ হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।

১৯ নভেম্বর সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নয়ন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরে লিফলেট বিতরণ কালে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষকালে গুলিতে নিহত হন ।

আবুল হাসনাত মো. রাফি/আরএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।