আটকে গেল ফটিকছড়ির নানুপুর ইউপি নির্বাচন


প্রকাশিত: ১০:১৬ এএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

১৪ বছর পর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরও ভোট উৎসবের আমেজ নেই ফটিকছড়ির ১৪ নং নানুপুর ইউনিয়নে। নানুপুর ও ২১ নং খিরাম ইউনিয়নের মধ্যকার সীমানার বিষয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশন চলমান থাকায় এই ইউনিয়নে নির্বাচন দেবে না ইসি।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০০০ সাল থেকে নানুপুর ইউনিয়নের খিরাম, হচ্ছারঘাট, মগকাটা, বড়ইতলী, প্রেমপুর, গামরীতলা গ্রাম নিয়ে একটি আলাদা ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করছে এলাকাবাসী।

২০০৬ সালে চারদলীয় জোট সরকার ২১নং খিরামকে আলাদা ইউনিয়ন করে গ্যাজেট প্রকাশ করে। সেখানে সীমানা নির্ধারণে ঢালকাটা গ্রামের অংশ অর্ন্তভুক্ত করায় ইউপি সদস্য মো. ইউনুছ বাদি হয়ে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। এই রিট পিটিশনের স্থগিতাদেশ থাকায় ২০১১ সালের ইউপি নির্বাচনেও এই ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন হয়নি। সর্বশেষ ২০০৩ সালের ইউপি নির্বাচনে এই ইউপিতে আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ ওসমান গনি বাবু চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
 
খিরাম ইউপি বাস্তবায়ন আন্দোলনের নেতা শেখ আবদুল্লাহ মাস্টার বলেন, কৃষি উৎপাদনের এই উর্বর ভূমিকে যুগে যুগে প্রভাবশালীরা শাসন ও শোষণ করেছে। এখনো করছে। উন্নয়নকামী খিরামের জনসাধারণ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।  তাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে এখানে রাষ্ট্র যেমন আলাদা ইউনিয়ন করেছে, তেমনি সীমানা নির্ধারণের বিষয়টিও দ্রুত নিষ্পত্তি করে ঘোষিত তফসিল অনুসারে নির্বাচন দেয়া প্রয়োজন।
 
ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ ওসমান গনি বাবু জানান, নির্বাচন কমিশন কিভাবে তফসিল ঘোষণা করেছে জানি না। আমার ইউনিয়ন থেকে ২১নং খিরাম ইউনিয়ন ভাগের বিষয়ে মামলা এখনো চলমান আছে।
 
এবিষয়ে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ১৪নং নানুপুর ইউনিয়নে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ আছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দফতরে জানানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পরবর্তী নির্দেশনা পেলে নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।     

জীবন মুছা/এসকেডি/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।