মাদারগঞ্জ উপজেলা পরিষদের পতিত জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ
জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলা পরিষদের পতিত জমিতে শাকসবজি চাষ করে প্রশংসায় ভাসছেন কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহাদুল ইসলাম। জঙ্গল ও ঘাসে ভরা জমি এখন রঙিন ফুলকপি, বাঁধাকপি, শালগম, পুঁইশাক, সরিষাশাক, লালশাক, বেগুন, মরিচ, টমেটো, পেঁপে, ডাঁটাশাক, লেবুসহ বিভিন্ন শাকসবজির সমারোহ। তার এমন কাজে মুগ্ধ ও অনুপ্রাণিত হচ্ছেন পরিষদে সেবা নিতে আসা মানুষরাও।
উপজেলা পরিষদ ঘুরে দেখা যায়, জমিতে শোভা পাচ্ছে নানারকম শীতকালীন সবজি। অফিসের কাজের ফাঁকে কৃষি কর্মকর্তা শাহাদুল কখনো সবজির বেড প্রস্তুত করছেন, আবার কখনো নিড়ানিসহ সবজি ক্ষেতে সেচ দিচ্ছেন। পাশেই অনেকে দাঁড়িয়ে দেখছেন কৃষি কর্মকর্তার এ কর্মযজ্ঞ।
সমবায় অফিসে সেবা নিতে আসা সোহাগ হোসেন বলেন, কিছুদিন আগেও জায়গাটি ঘাস ও জঙ্গলে ভরা ছিল। এখন সবজি বাগান। দেখতেই ভালো লাগছে। কৃষি কর্মকর্তা নিজেই বাগানের পরিচর্যা করেন।
কৃষি কর্মকর্তা শাহাদুল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমার ছোট পরিবারের পুষ্টি চাহিদা অনেকটা এখান থেকেই পূরণ করতে পারছি। এছাড়াও শিশুদের সম্পূর্ণ নিরাপদ শাকসবজি খাওয়াতে পারছি। আমার মতো প্রত্যেকেই যদি তাদের বাড়ির আশেপাশের পতিত জায়গাগুলো এভাবে চাষের আওতায় আনে তাহলে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নির্দেশ পূরণ হবে। একইসঙ্গে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানও নিশ্চিত হবে।
তিনি আরও বলেন, এখান থেকে সবজি খাওয়াটা মুখ্য বিষয় নয়। মানুষকে উৎসাহিত করা। একই সঙ্গে চত্বরের সৌন্দর্য বাড়ানো।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ওবায়দুর রহমান বেলাল বলেন, এক সময়ের ঘাস জঙ্গলে ভরে থাকা জমি এখন বিষমুক্ত সবজির চাষ করছেন কৃষি কর্মকর্তা। তার একান্ত প্রচেষ্টায় এটি সম্ভব হয়েছে। এমন কাজ প্রশংসার দাবিদার। আমরা তাকে সাধুবাদ জানাই।
মো. নাসিম উদ্দিন/জেএস/জেআইএম