কালীগঞ্জের ৬ লেভেল ক্রসিং বিপজ্জনক, নেই গেটম্যান-বার
ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম রেলপথের গাজীপুরের কালীগঞ্জ এলাকার অরক্ষিত লেভেল ক্রসিংগুলো ক্রমেই মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এসব ক্রসিংয়ে ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা। এতে বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। তাই ক্রসিংয়ে বার বসানো ও গেটম্যানের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও যাত্রীরা।
সবশেষ মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে আড়িখোলা স্টেশনের অদূরে খঞ্জনা (বড়নগর রোড) লেভেল ক্রসিংয়ে চট্টগ্রামগামী ট্রেনের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় অজ্ঞাতপরিচয় (৩২) এক যুবক নিহত হন। এ সময় গুরুতর আহত হন আরও এক যুবক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিদিন এ রেলপথ দিয়ে ঢাকা থেকে সিলেট, চট্টগ্রাম ও ভৈরব হয়ে ময়মনসিংহে প্রায় ৫০টি ট্রেন আসা-যাওয়া করছে। কালীগঞ্জ উপজেলা সীমানায় আটটি লেভেল ক্রসিং আছে।
এগুলো হলো- নলছাটা, বান্দাখোলা (কামারবাড়ী), তুমলিয়া (সাদ্দাম বাজার), খঞ্জনা (বড়নগর রোড), বালীগাঁও (চৌধুরী বাড়ি), বালীগাঁও (মোড়ল বাড়ি), বাঘারপাড়া, দেওপাড়া। এরমধ্যে শুধু শিমুলিয়া ও দড়িপাড়া এলাকা রেলওয়ে অনুমোদিত গেইটম্যান ও গেটবার আছে। বাকি ছয়টির অবস্থা খুবই বিপজ্জনক।
স্থানীয়রা প্রতিদিন মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে এসব লেভেল ক্রসিং পারাপার হচ্ছেন। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় অসংখ্য দুর্ঘটনা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, লেভেল ক্রসিংগুলো খুবই বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। কয়েকদিন পর পরই ঘটছে দুর্ঘটনা। এরপরও গেটম্যান ও গেটবারের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তাই অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সাইফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। খঞ্জনা (বড়নগর রোড) একটি বিপজ্জনক লেভেল ক্রসিং। আমরা প্রায়ই এ লেভেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার খবর পাই। এটা ছাড়াও কালীগঞ্জ এলাকার বেশ কয়েকটি লেভেল ক্রসিংয়ে গেটম্যান না থাকার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, তবে গেটম্যান না থাকায় সতর্ককরণ নোটিশ দেওয়া আছে। যানবাহন চালকরা দেখেশুনে সতর্কতার সঙ্গে গাড়ি না চালানোর কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে।
আব্দুর রহমান আরমান/এসজে/এমএস
