পিরোজপুরে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে গুলি-সংঘর্ষ আহত ১৫
পিরোজপুরের নাজিরপুরে আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র গুলি, হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় যুবলীগ নেতাসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সরকারি মহিলা কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম গ্রুপের উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. রশিদ শেখ (৪১), জুয়েল শেখ (১৮), মেজবাহ হাওলাদার (৩০), সোহাগ মৃধা (৪০), আখতারুজ্জামান শিকদার (৫৫), সুবোধ মিস্ত্রী (৪৩), এনামুল শেখ টুকু (২৬), জাকারিয়া বেপারী (৩০) ও উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মো. তরিকুল ইসলাম তাপস (৩৫), নাজিরপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার হালদার (৫৫) ও আউয়াল গ্রুপের শাওন (৩০), নিক্সন (২৩), জাকির হোসেনসহ (২৮) অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। গুলিতে আহত রশিদ শেখকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. কৌশিক সাহা জানান, আহত ৯ জনকে চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলায় আহত উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম চৌধুরী তাপস জানান, সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় নেতারা কমিটি গঠনের জন্য বঙ্গমাতা কলেজের দোতলার একটি কক্ষে বসে সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলেন। এসময় আমরা ওই ভবনের নিচে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিচ্ছিলাম। এক পর্যায়ে পিরোজপুর থেকে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতিসহ অন্যদের সঙ্গে আসা এক যুবক গুলি ছোড়েন। ওই গুলিতে যুবলীগ নেতা রশিদ আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় নাজিরপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে থাকা কমপক্ষে ১০টি মাইক্রো বাস ভাঙচুরসহ প্রতিপক্ষের ব্যানার-ফেস্টুন নষ্ট করা হয়।
নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, কাউকে গুলি করতে দেখিনি। তবে গুলি করা হয়েছে বলে কয়েকজনে চিৎকার করে দৌড় দেন। পরে হামলা ও সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়েছে।
পরে মোশারেফ হোসেন খানকে সভাপতি ও আশুতোষ ব্যাপারীকে সাধারণ সম্পাদক করে নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়।
আরএইচ/জেআইএম
