ঈশ্বরদী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হানিফের ‘আর্জেন্টিনা এক্সপ্রেস’
বিশ্বকাপ ফুটবল দলের তালিকায় বাংলাদেশের নাম নেই। তবে এ দেশে বিশ্বকাপ উন্মাদনার মাত্রা বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে বেশি। মাত্র দু’দিন পরই কাতারে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুটবল আসরের পর্দা উঠছে।
প্রতিনিয়ত ফুটবলপ্রেমীদের উন্মাদনা বাড়ছে। এ হাওয়া লেগেছে পাবনার ঈশ্বরদীতেও। প্রিয় দলের পতাকা ও খেলোয়াড়দের ছবি দেয়ালে এঁকে, পতাকা টানিয়ে এবং আড্ডায় যুক্তিতর্কে নিজেদের পছন্দের দলের জনপ্রিয়তার জানান দিচ্ছেন।
ঈশ্বরদী পৌর শহরের পূর্ব নূরমহল্লার রিকশাচালক হানিফ সরদার (৫০)। পছন্দের দল আর্জেন্টিনার পতাকার রঙে সাজিয়েছেন নিজের রিকশাটি। নাম দিয়েছেন ‘আর্জেন্টিনা এক্সপ্রেস’। সেই রিকশা নিয়ে তিনি ঈশ্বরদীর বিভিন্ন সড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। পাশাপাশি নিজে গায়ে পরেছেন আর্জেন্টিনার জার্সি।
মাথায় ক্যাপ ও মুখে মাস্কও আর্জেন্টিনার পতাকার রঙে সাজিয়েছেন। এছাড়া রিকশায় ঝুলিয়েছেন ছোট বড় ১০টি পতাকা। ছোট সাউন্ড বক্সে বাজাচ্ছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ দলকে নিয়ে গাওয়া গান। এ সবই তিনি করেছেন প্রিয় দলের প্রতি ভালোবাসা ও দলের সমর্থকদের উৎসাহ যোগাতে।
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সকালে পৌর শহরের স্টেশন রোডে রিকশায় যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিলেন হানিফ সরদার। এ সময় আর্জেন্টিনার সমর্থকরা রিকশা দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছিলেন। হানিফের রিকশা স্টেশন রোডের আরজু সুপার মার্কেটের সামনে এসে থামলে উৎসুক মানুষ ভিড় জমায়।
হানিফ সরদার বলেন, ম্যারাডোনার খেলা দেখে আর্জেন্টিনা দলের প্রতি যে ভালোবাসা তৈরি হয়েছিল তা এখনো কোনো অংশে কমেনি। প্রায় ৪০ বছর ধরে আর্জেন্টিনাকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। বিশ্বকাপ ফুটবল এলে শিশু বেলায় নিজের বাইসাইকেল আর্জেন্টিনার পতাকার রঙে সাজিয়েছি। ২০১৪ সাল থেকে নিজের রিকশাটিও আর্জেন্টিনার পতাকার রঙে সাজিয়ে তুলি।
তিনি আরও বলেন, ম্যারাডোনা না থাকলেও তার সবকিছু লিওলেন মেসির খেলায় উপভোগ করি। বর্তমান পৃথিবীর সেরা খেলোয়াড় মেসি। তিনি দুর্দান্ত ফরমে আছেন। আশা করি এবার বিশ্বকাপ আর্জেন্টিনা জিতে নিবে।
হানিফ সরদারের রিকশা দেখতে আসা কুরিয়ার সার্ভিস কর্মী শুভ বলেন, প্রিয় দলের পতাকার রঙে রিকশা সাজানো দেখে খুব আনন্দিত। আমি চাই আর্জেন্টিনা এবার বিশ্বকাপ জয় করুক। মেসির হাতে উঠুক বিশ্বকাপ।
রিকশার যাত্রী ফারুক হোসেন বলেন, আমি আর্জেন্টিনার সমর্থক। প্রিয় দলের পতাকার রঙে সাজানো রিকশা দেখে ভালো লাগলো। তাই কোনো চিন্তা না করেই তার রিকশায় উঠে পড়লাম। সত্যই আমি খুবই আনন্দিত।
শেখ মহসীন/এসজে/জেআইএম