মাঝে ১৬ বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই ড্রেন নির্মাণ, ক্ষোভ এলাকাবাসীর
জামালপুরের মেলান্দহ পৌরসভায় বসতবাড়ির ময়লা-আবর্জনা ও পয়ঃনিষ্কাশনের প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ড্রেনের মাঝে পল্লী বিদ্যুতের বেশকিছু খুঁটি রেখেই নির্মাণকাজ চলছে। এতে পৌরবাসীর মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) মেলান্দহ পৌরসভার শিমুলতলা মোড় এলাকায় এ চিত্র দেখা গেছে।
তবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর দাবি, ১৬টি খুঁটি তাদের নির্মাণাধীন ড্রেনের মাঝে পড়লেও বাকিগুলো পৌরসভার।
সরেজমিন দেখা গেছে, পৌরসভার শিমুলতলা থেকে পশ্চিম দিকে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্মাণাধীন ড্রেনের মাঝে বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো রেখেই কাজ সমাপ্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। খুঁটিগুলোর গোড়া ড্রেনের প্রশস্তার প্রায় সমান হওয়ায় পানি ও বর্জ্য চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। বসতবাড়ির ময়লা-আবর্জনা আটকে জলাবদ্ধতা ও দুর্গন্ধ ছড়াবে। নতুন করে খুঁটি সরাতে গেলে সরকারকে গুনতে হবে অতিরিক্ত টাকা। এটি অপরিকল্পিত কাজ বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় আব্দুস সালাম, মুখলেছুর রহমান, শাহ আলম, মুকুল মিয়া, রফিক, কালামসহ অনেক জানান, ড্রেনটি করতে সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করেছে। কিন্তু শতকরা ৯০টি খুঁটি ড্রেনের মাঝখানে। এতে দুদিন যেতে না যেতেই ময়লা আটকে ড্রেন বন্ধ হয়ে যাবে। তখন চারদিকে দুর্গন্ধ ছড়াবে, পরিবেশ দূষিত হবে।
নুরুল আমিন নামের একজন জানান, নির্মাণকাজ প্রায় সম্পন্ন। শুধু উদ্বোধন বাকি। এখন খুঁটি সরাতে হলে ড্রেন ভাঙতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেলান্দহ পৌরসভার মেয়র শফিক জাহেদী রবিন জাগো নিউজকে বলেন, কাজটা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের, পৌরসভার না। তাই বিষয়টি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে জানানো হয়েছে। তারা বলেছেন আজ থেকে ড্রেন ভেঙে সংস্কারের কাজ ধরবেন।
খুঁটি সরানোর বিষয়ে মেলান্দহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. নুরুল আমিন জাগো নিউজকে বলেন, শিমুলতলা থেকে সিএনজি স্ট্যান্ড পর্যন্ত ড্রেনের মাঝে এবং এর আশপাশে ৩৩ কেবির ৪৬টি বৈদ্যুতিক খুঁটি রয়েছে। এর মাঝে দুটি খুঁটি খুবই ঝুকিপূর্ণ। কিন্তু ড্রেন নির্মাণের আগে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর লিখিতভাবে কিংবা মৌখিকভাবে কিছুই জানায়নি। উল্টো তারাই চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন বৈদ্যুতিক খুঁটি ঝুঁকিতে রয়েছে।
তিনি বলেন, চিঠিতে খুঁটি সরানোর জন্য যে ব্যয় সেটির চাহিদা পাঠানো হয়েছে। বিল পাস হলেই খুঁটি সরানোর কাজ শুরু হবে। তবে এখনো সেই চিঠির জবাব পাননি বলেও জানান ডিজিএম।
জামালপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জাগো নিউজকে বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ আগামী জুনে শেষ হবে। বিষয়টি নজরে আসার পর এলাকাটি পরিদর্শন করা হয়েছে। এখানে ১৬টি বৈদ্যুতিক খুঁটি তাদের নির্মাণ করা ড্রেনের মাঝসহ আশপাশে পড়েছে। বাকিগুলো পৌরসভার।
তিনি বলেন, খুঁটিগুলো সরানো কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এজন্য যতদ্রুত সম্ভব ময়লা-আবর্জনা যাতে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসআর/এএসএম