১৮ দিনেও উদ্ধার হয়নি সিত্রাংয়ে ডুবে যাওয়া সরকারি পন্টুন

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি মোংলা (বাগেরহাট)
প্রকাশিত: ০১:৫৮ পিএম, ১২ নভেম্বর ২০২২
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে ডুবে যায় স্টিমার ঘাটের পন্টুন

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক মোংলা-ঘাষিয়াখালী ক্যানেলে ডুবে যাওয়া স্টিমার ঘাটের পন্টুন দীর্ঘ ১৮ দিনেও উদ্ধার হয়নি। সেই থেকে এখন পর্যন্ত পন্টুন উদ্ধার নিয়ে চলছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) মধ্যে চিঠি চালাচালি।

এদিকে পন্টুনটি ক্যানেলের মাঝে নিমজ্জিত থাকায় মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে নৌপথ দিয়ে কার্গো, কোস্টার, ট্যাংকারসহ বিভিন্ন ধরণের জাহাজ চলাচল। একই সঙ্গে ডুবন্ত পন্টুনে ধাক্কা লেগে নতুন করে নৌযান ডুবি ও দুর্ঘটনার আশঙ্কাও আছে।

বিআইডব্লিউটিএর খুলনার যুগ্ম পরিচালক মো. আশরাফ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে ২৪ অক্টোবর রাতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক মোংলা-ঘাষিয়াখালী ক্যানেলে ডুবে যায় বিআইডব্লিউটিসির মোংলার কুমারখালীর রকেট ঘাটের পন্টুন। এরপর থেকে পন্টুনটি উত্তোলনে ঢাকা বিআইডব্লিউটিসির পরিচালককে (বাণিজ্য) দুবার চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি মৌখিকও জানানো হয়েছে। এটি উত্তোলনের জন্য তারা আমাদের সঙ্গেও কোনো চুক্তি করছে না। তারাও উত্তোলনের কোনো উদ্যোগও নিচ্ছে না। এখন একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে হওয়াতে বেশি কিছু করার সুযোগও নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘সর্বশেষ জেনেছি বিআইডব্লিউটিসি পন্টুনটি উত্তোলন করবে না। বরং ভাঙাড়ি হিসেবে বিক্রির জন্য চিঠি লিখে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন চেয়েছে। অনুমোদন পেলে টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করে দেবে। টেন্ডারে যারা পাবে তারাই এটা উত্তোলন করবে। যদিও বিষয়টি সময়সাপেক্ষ।’

আশরাফ হোসেন বলেন, ‘এ ক্যানেলটি দিয়ে বর্তমানে নৌযান চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। রাতের অন্ধকারে কোনো নৌযান ডুবন্ত পন্টুনের ওপর উঠে গেলে কিংবা ধাক্কা খেলে তা ডুবে যাওয়ার আশঙ্কাও আছে। আগে ২৪ ঘণ্টা নৌযান চলাচল করলেও ২৪ অক্টোবর থেকে শুধু দিনে চলছে আর রাতে বন্ধ থাকছে। এটাও একটা সমস্যা নিয়মিত নৌযান চলাচলের ক্ষেত্রে।’

বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. আনিসুজ্জামান রকি জাগো নিউজকে বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এ ক্যানেলটি দিয়ে নৌযান চলাচলের ক্ষেত্রে নতুন করে যাতে কোন দুর্ঘটনা না ঘটে সেদিকে আমরা সর্তক আছি। সেখানে সার্বক্ষণিক আমাদের লোকজন থাকছে। পন্টুনটি ক্যানেলের মাঝখানে নিমজ্জিত থাকলেও পাশ দিয়ে নৌযান চলাচলে আপাতত সমস্যা না হলেও চরম ঝুঁকি আছে। যে প্রক্রিয়ায় হোক না কেন দ্রুতই এটি উত্তোলন করা প্রয়োজন, নতুবা দুর্ঘটনার আশঙ্কা তো থেকেই যাচ্ছে।’

বিআইডব্লিউটিসির (ঢাকা) জেনারেল ম্যানেজার (মেরিন) মো. হাশেমুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, মোংলায় নিমজ্জিত পন্টুনটি বিক্রির তালিকায় রাখা হয়েছে। সেটির স্যালভেজ করে বিক্রির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।

আবু হোসাইন সুমন/এসজে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।