‘চাঁদা না পেয়ে’ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে প্রাচীর ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মানিকগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৫:৪৮ পিএম, ০৮ নভেম্বর ২০২২

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে চাঁদা না দেওয়ায় রাতের আঁধারে এক নারীর সীমানা প্রাচীর ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পৌরসভার কাউন্সিলর রিয়াজুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ইমু সুলতানা।

এ ঘটনায় সোমবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কাউন্সিলর রিয়াজুল ইসলামকে থানায় ডাকে পুলিশ। এ সময় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীসহ কয়েকশ সমর্থক থানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরে বিষয়টি সুরাহার জন্য মেয়রকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী ইমু সুলতানার ভাষ্যমতে, দুই বছর আগে পৌরসভার চরসিংগাইর মৌজায় চার শতাংশ জমি কিনে তিনি ভোগদখল করে আসছেন। সম্প্রতি ওই জমির চারপাশে প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করেন। গত ১ নভেম্বর সিংগাইর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রিয়াজুল ইসলাম সেখানে উপস্থিত হয়ে বলেন, রাস্তাঘেঁষে প্রাচীর নির্মাণ করা যাবে না। যদি প্রাচীর টিকিয়ে রাখতে হয় তাহলে তাকে ৫০ হাজার টাকা ঘুস দিতে হবে। কথা বলতে বলতে প্রাচীর থেকে ৩-৪টি ইটও হাত দিয়ে খুলে ফেলেন তিনি।

এ সময় চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় ইমু সুলতানাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন কাউন্সিলর। মিনিট পাঁচেক পর ৪-৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে এসে গালাগালিসহ রাজমিস্ত্রিকে মারধর করেন। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে কাউন্সিলর ও তার লোকজন চলে যান। পরদিন সকালে পানি দিতে গেয়ে ইমু সুলতানা দেখেন তার পুরো সীমানা প্রাচীর ভাঙা।

Manik-(2).jpg

ইমু সুলতানার অভিযোগ, চাঁদা না দেওয়ায় কাউন্সিলর তার সীমানা প্রাচীর ভেঙে দিয়েছেন। পরে এ বিষয়ে সিংগাইর থানায় তিনি লিখিত অভিযোগ করেন।

তিনি আরও বলেন, সোমবার তাকে থানায় ডাকা হয়। গিয়ে দেখেন ওসির রুমে পৌরমেয়র আবু নাঈম মোহাম্মদ বাসার ও কাউন্সিলর রিয়াজুল ইসলাম বসে আছেন। এ সময় সেখানেই তাকে নানাভাবে চার্জ করেন কাউন্সিলর ও মেয়র। ওসি তাদের থামতে বললে ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়র বাইরে বেরিয়ে আসেন। এরপর তাদের সমর্থনে থানার সামনে স্কুলমাঠে কয়েকশ মানুষ জড়ো হন। পরে বিষয়টি সুরাহার জন্য মেয়রকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কাউন্সিলর রিয়াজুল ইসলাম বলেন, পৌরসভার নিয়ম অনুযায়ী রাস্তা থেকে ৬ ফুট জায়গা রেখে স্থাপনা করতে হবে। কিন্তু ওই নারী মাত্র দেড় ফুট জায়গা রেখে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছেন। এজন্য তাকে প্রাচীর ভেঙে ফেলতে বলা হয়। এতে তিনি রাজি হন। তবে রাতের আঁধারে কে বা কারা ওই প্রাচীর ভেঙে ফেলেছেন তা তিনি জানেন না। চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ সত্য নয় বলেও দাবি করেন কাউন্সিলর।

এ বিষয়ে জানতে সিংগাইর পৌরমেয়র আবু নাঈম মোহাম্মদ বাসারকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

সিংগাইর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল ইমরান জানান, দুই পক্ষের কথা শুনে বিষয়টি সমাধানের জন্য পৌরমেয়রকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বি.এম খোরশেদ/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।