নড়াইলে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আহত ৩০, আটক ৮
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পাঁচগ্রাম ইউপি নির্বাচনের পর প্রতিদ্বন্দ্বী দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ আটজনকে আটক করেছে।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়নের মহিষখোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কয়েকজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্যপদে সাখাওয়াত মন্ডল (টিউবওয়েল প্রতীক) ও বুলু শেখ (বল প্রতীক) নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। ভোট গ্রহণের পর সাখাওয়াত মন্ডল নির্বাচিত হন।
এরপর বিজয় মিছিল করলে উভয় প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় পরাজিত সদস্য প্রার্থী বুলু শেখ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
সংঘর্ষ চলাকালে মহিষখোলা গ্রামে নবনির্বাচিত সদস্য সাখাওয়াত মন্ডল, শামসুর রহমান ও ইসমাইল শেখের বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। এসময় হামলাকারীরা দুইটি মোটরসাইকেল, একটি ইজিবাইক ভাঙচুরসহ ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে।
সংবাদ পেয়ে কালিয়া থানার পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম জাগো নিউজকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় আটজনকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
হাফিজুল নিলু/জেএস/জেআইএম