নানা সমস্যায় জর্জরিত কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
ঝুঁকিপূর্ণ ভবন, চিকিৎসক সংকটসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এতে করে স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকার মানুষ। ফলে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, লাইন বন্ধ থাকায় দীর্ঘ দিন ধরে পানি সংকটে রয়েছেন হাসপাতালের রোগীরা। ফলে হাসপাতালে সংলগ্ন পুকুরের পানি খাওয়ানো হচ্ছে রোগীদের। এতে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন রোগী ও স্বজনরা।
পরিত্যক্ত ভবনে চলছে রোগীদের চিকিৎসা। ২০২০ সালে চালু হওয়া ৩১ শয্যার হাসপাতালের কার্যক্রম চলে জরাজীর্ণ ভবনে। ফলে ঝুঁকিপুর্ণভাবে চলে গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম। হাসপাতালে কোনো মেডিকেল টেকনোলজিস্ট না থাকায় রোগীর ল্যাব টেস্ট হচ্ছে না। নেই কোনো আধুনিক এক্স-রে মেশিন। তেল সংকটসহ নানা সমস্যায় বন্ধ থাকে জেনারেটর। হাসপাতালের কোয়ার্টার ভবনগুলোও পড়ে আছে জরাজীর্ণ অবস্থায়।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, লক্ষাধিক মানুষর বিপরীতে ২৯ চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও এইচএ-আরএমওসহ ৬ চিকিৎসক রয়েছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও আগের লোকবল দিয়েই চলছে সেবা কার্যক্রম। স্টাফ নার্স ৩০ জনের মধ্যে তিনজন বিএসসি ট্রেনিংয়ের জন্য খুলনায় আছেন, মাতৃত্বকালীন ছুটিতে আছেন দুজন। এছাড়াও মিডওয়াইফারি ছয়জনের একজন রয়েছেন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে। দুজন আয়ার একজন ডেপুটেশনে চিতলমারীতে রয়েছেন।
ল্যাব টেকনোলজিস্টের তিন পদের সবগুলোই খালি। ২৫ জন মাঠকর্মীর জায়গায় রয়েছে ১৫ জন। এইচআই পদে দুটির একজনও নেই। এএইচআই পদে পাঁচজন থাকার কথা থাকলেও আছে তিনজন। এমএলএসএস পদে ৪ জনের জায়গায় রয়েছে দুজন। ওয়ার্ড বয় পদে তিনজন থাকার কথা থাকলেও একজনের পদ শূন্য।
কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মনি শংকর পাইক বলেন, নানা সংকটে হাসপাতালের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তবে আগের চাইতে সেবার মানসহ পরিবেশগত উন্নয়ন হয়েছে। হাসপাতালের সেবার মান বৃদ্ধিতে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে পুরাতন ভবনের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। আশাকরি দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ হবে।
আরএইচ/জেআইএম