দলিল লেখকের হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে
রাজবাড়ীর পাংশায় সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দুই দলিল লেখককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাব রেজিস্ট্রি অফিস সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
আহত অতুল চন্দ্র সরকার উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের অনিল চন্দ্র সরকারের ছেলে ও সাইফুল ইসলাম যশাই ইউনিয়নের চর গোপিনাথদিয়া গ্রামের জলিল মিয়ার ছেলে। হাত ভাঙা অবস্থায় দলিল লেখক অতুল চন্দ্র সরকারকে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় এবং প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেন সাইফুল ইসলাম।
অভিযুক্ত জালাল উদ্দিন বিশ্বাস পাংশা উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান। এবং তিনি উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পাংশা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি।
চিকিৎসাধীন অতুল চন্দ্র সরকার অভিযোগ করে বলেন, ‘দীর্ঘ দিন ধরে বেশ কয়েকজনকে দলিলের সময় সরকারি ফি’র অতিরিক্ত টাকা নিতে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু আমরা তা করছিলাম না। ফলে কারণে সমিতির মাধ্যমে আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সকালে পাংশা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন বিশ্বাস এসে বলেন- তুই এতদিন টাকা জমা দিস নাই কেন? আজ থেকে দিবি, কোথা থেকে দিবি জানি না। এ সময় প্রতিবাদ করলে জালাল বিশ্বাস ঘুসি মারেন। এরপর চেয়ার দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে থাকেন। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করবো।’
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, ‘প্রায় শতাধিক দলিল লেখক আছে সমিতিতে। সবাই একদিকে আর অতুল চন্দ্র অন্যদিকে। সকালে হঠাৎ করে অফিসে ঢুকে দ্রুত গতিতে তিনি বেরিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হতে গিয়ে পড়ে জখম হন। কিন্তু আমাকে হেনস্থা করতে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা কথা ছড়াচ্ছে। মারধর করা বা দলিল থেকে সরকারি ফি’র অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়টি অসত্য।
পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, রেজিস্ট্রি অফিস এলাকায় কোনো একটি ঘটনা ঘটেছে, এমন সংবাদ শুনে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। সাব রেজিস্ট্রারের সঙ্গেও কথা বলেছি। তবে কোনো ঘটনার সত্যতা পাইনি। এমনকি এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগও দেয়নি।
রুবেলুর রহমান/এসজে/জেআইএম