‘সিত্রাং’ তোয়াক্কা না করে সেন্টমার্টিনেই আছেন অর্ধশতাধিক পর্যটক

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার
প্রকাশিত: ০৮:৩২ পিএম, ২৪ অক্টোবর ২০২২

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে চরম উত্তাল বঙ্গোপসাগর। এর মধ্যেও দেশের প্রবাল সমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্টমার্টিনে অবস্থান করছেন অর্ধশতাধিক পর্যটক। তবে তারা নিরাপদে আছেন বলে জানিয়েছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাতে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, জাহাজ চলাচল শুরুর পর থেকে প্রতিদিন কয়েকশ পর্যটক সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেড়াতে আসেন। রোববার থেকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব বাড়ায় নিরাপত্তার স্বার্থে দ্বীপে অবস্থান করা পর্যটকদের কক্সবাজারে ফেরত পাঠানো হয়। মাইকিং করেই তাদের জাহাজে তুলে দেওয়া হয়। এ সময় নিজের ইচ্ছায় অর্ধশতাধিক পর্যটক দ্বীপে থেকে যান। জোর করেও তাদের জাহাজে তোলা যায়নি।

চেয়ারম্যান আরও বলেন, সিত্রাংয়ের প্রভাবে আবহাওয়া বৈরী হলেও পর্যটকরা নিরাপদে আছেন। তারা সেন্টমার্টিনের বিভিন্ন কটেজ ও রিসোর্টে অবস্থান করছেন। আমরা খোঁজ-খবর রাখছি। তবে তারা যেন উত্তাল সাগরে গোসল করতে না নামেন, এজন্য স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক ও ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা সতর্কতামূলক প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন। সিপিপিসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে দ্বীপে মাইকিং করা হচ্ছে। রাতে বাতাস বাড়লেও স্থানীয়দের বুঝিয়েও আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের বাড়ন্ত পানির ঢেউয়ের তোড়ে সেন্টমার্টিন জেটি ও উপকূলে নোঙর করা ১৩টি ট্রলার ডুবে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে একটি সার্ভিস ট্রলার ও ১২টি মাছ ধরার ট্রলার। তবে এতে কেউ হতাহত হননি। সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দ্বীপের দক্ষিণ-পূর্ব সমুদ্র উপকূলে এ ঘটনা ঘটে। ঢেউয়ের তোড়ে সাতটি ট্রলার সম্পূর্ণ ও ছয়টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আরও কিছু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। দমকা হাওয়ায় কিছু কাঁচা ঘরবাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশ কিছু গাছপালা উপড়ে পড়েছে। তবে এসব ঘটনায় কেউ হতাহত বা নিখোঁজ হননি।

চেয়ারম্যান মুজিব বলেন, উত্তাল সাগরে উচ্চ জোয়ারের কারণে সাগরের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। রোববার রাত থেকে দ্বীপে থেমে থেমে গুঁড়ি ও হালকা বৃষ্টিপাতের সঙ্গে দমকা হাওয়া বইছে। সমুদ্রবন্দরে ৬ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলায় মাছ ধরার ট্রলারগুলো উপকূলে নিরাপদ স্থানে অবস্থান নিয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. এরফানুল হক চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, দ্বীপের দুটি আশ্রয়কেন্দ্রে ও বহুতল ভবন সার্বক্ষণিক খোলা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি এলাকাবাসীকে দুর্যোগের সতর্ক সংকেত মেনে চলার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। দুর্যোগের সময় পর্যাপ্ত পরিমাণের শুকনো খাবার মজুত রাখা হয়েছে। দ্বীপে অবস্থান করা পর্যটকদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

সায়ীদ আলমগীর/এসজে/জেআইএম

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।