ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং
বরগুনায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি, ৪২ মেডিকেল টিম গঠন
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি বরগুনা
প্রকাশিত: ০১:৩৯ পিএম, ২৪ অক্টোবর ২০২২
বরগুনায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দ্বিতীয় দিনের মতো বৃষ্টি হচ্ছে। তবে প্রথমদিনের থেকে আজ বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বইতে শুরু করেছে দমকা হাওয়া। তবে নদ-নদীর পানি এখনো স্বাভাবিক রয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৬৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর কারণে বরগুনায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সিপিপি ও রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করে সতর্ক করছেন। দুর্যোগকালীন সময়ে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য জেলায় ৪২টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
এদিকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে অনীহা রয়েছে উপকূলের বাসিন্দাদের। তারা গবাদি পশু বসতবাড়ি খালি রেখে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চাচ্ছেন না। আবার কেউ কেউ বলছেন সন্ধ্যার পর তার আশ্রয় কেন্দ্রে যাবেন।
যদিও জেলা প্রশাসন বলছেন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার সব বাসিন্দাদের আজ সন্ধ্যার মধ্যেই আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হবে।
বরগুনা সদর উপজেলার পোটকাখালী এলাকার বাসিন্দা আফিয়া খাতুন বলেন, আমি গরু ছাগল হাঁস-মুরগি রেখে আশ্রয় কেন্দ্রে যাবো না।
বড়ইতলা ফেরিঘাট এলাকায় বাসিন্দা আল-আমিন হোসেন বলেন, সন্ধ্যা পর্যন্ত দেখবো যদি বাতাসের গতি বাড়ে তাহলে পরিবার-পরিজন নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যাবো।
বরগুনা সিভিল সার্জন ডা. ফজলুল হক জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জেলায় কোথাও হতাহতের ঘটনা ঘটলে দ্রুত তাদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য জেলায় বৃষ্টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, বরগুনায় ৬৪২টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলার ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের বাসিন্দাদের আজ সন্ধ্যার আগেই সাইক্লোন শেল্টারে নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় চলাকালীন মোকাবিলা করার জন্য জেলায় ৯ হাজার ৬১৫ জন স্বেচ্ছাসেবীকর্মী কাজ করছে। এ সময়ের জন্য ২৫ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন।শুকনো খাবার রাখা হয়েছে এক হাজার কার্টুন। বিস্কুট রাখা হয়েছে ৭০০ কার্টুন।
জেএস/এমএস