ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং

পটুয়াখালীতে ভারি বৃষ্টি, প্রস্তুত ৭০৩ সাইক্লোন শেল্টার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী
প্রকাশিত: ১২:০৯ পিএম, ২৪ অক্টোবর ২০২২

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে পটুয়াখালী সদর দক্ষিণ অঞ্চলের আবহাওয়া পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে। সকাল থেকে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

রোববার সকালে থেকে পটুয়াখালীসহ দক্ষিণ অঞ্চলে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলেও সোমবার সকাল থেকে পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের সার্বিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে।

পটুয়াখালী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী জানান, সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৯ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহম্মদ কামাল হোসেন জানান, এরই মধ্যে জেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলায় ৭০৩টি সাইক্লোন শেল্টার ২৬টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি বহুতল ভবনগুলোও আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে। এছাড়া গৃহপালিত প্রাণীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

jagonews24

পটুয়াখালী জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দেবনাথ জানান, দুর্যোগের সময় দুই লাখ ২৭ হাজার ৫০০ নগদ টাকা এবং ৩০০ মেট্রিক টন চাল মজুত রয়েছে। এছাড়া ২৫ লাখ টাকা নগদ অর্থ এবং ২০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার সরকারের কাছে চাহিদা পত্র দাখিল করেছে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন।

পটুয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. এস এম কবির হাসান জানান, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী জরুরী সেবা প্রদানের জন্য ৭২টি মেডিকেল টিম গঠন করেছে।

পটুয়াখালী জেলা নদীবন্দর কর্মকর্তা মামুন অর রশীদ জানান, নদী বন্দরের জন্য ৩ নম্বর সংকেত জারি করায় সব রকমের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া নৌযানগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

এদিকে উপকূলীয় এলাকার জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে বা সাইক্লোন শেল্টার যাওয়ার জন্য সাইক্লোন প্রিপারেশন প্রোগ্রাম (সিপিসি), যুব রেড ক্রিসেন্ট, ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড ও পুলিশবাহিনী প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে।

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউই ঘর থেকে বের হচ্ছে না। তবে শ্রমজীবী মানুষরা সব থেকে বেশি বিপাকে পরেছেন। শহরের সড়কগুলোতে যানবাহনের তেমন কোনো উপস্থিতি নেই। পাশাপাশি নৌ রুট এবং খেয়াঘাটগুলোতেও সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে।

আব্দুস সালাম আরিফ/জেএস/জিকেএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।