ইলিশ রক্ষা অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওপর হামলা, আহত ৪
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় মা ইলিশ রক্ষা অভিযান চলাকালে হামলা হয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওপর। এসময় মৎস্য কর্মকর্তা, কৃষি কর্মকর্তা, পুলিশসহ আহত হয়েছেন চারজন। আহতদের ভর্তি করা হয়েছে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
গতকাল (সোমবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার কুচারইপট্টি ইউনিয়নে কুলচরি পাতারচর এলাকার মেঘনা নদীর শাখায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন গোসাইরহাট উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হাসিবুল হক, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহাবুদ্দিন, গোসাইরহাট থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান, স্পিডবোটের চালক নোমান।
এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন গোসাইরহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহাবুদ্দিন।
তিনি জানান, সোমবার বিকেল ৪টার দিকে একটি স্পিডবোট ও একটি ট্রলার নিয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হাসিবুল হক, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহাবুদ্দিন, গোসাইরহাট থানার এসআই মনিরুজ্জামানসহ ১৫ জনকে নিয়ে মেঘনা নদীতে অভিযানে নামেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুজন দাস গুপ্ত।
বিকেল ৫টার দিকে দুই জেলে মো. আলী হোসেন মোল্লা ও মো. রাসেল মোল্লাকে আটক করা হয়।
পরে নদী থেকে মাছ ধরার জাল উত্তোলন করা হচ্ছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে মেঘনার শাখা নদী কুলচরি পাতারচর এলাকায় গেলে ট্রলারে থাকা প্রায় দেড়শ জেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওপর হামলা করেন। তারা ইটপাটকেল ও দেশীয় অস্ত্র টেঁটা, বাঁশ ও সড়কি ছোড়েন। হামলায় চারজন আহত হয়।
গোসাইরহাট উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হাসিবুল হক বলেন, সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নেতৃত্বে আমরা গোসাইরহাট মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাই। কুচাইপট্টি কুলচরি পাতারচর এলাকায় সন্ধ্যায় আমাদের ওপর হামলা করেন জেলেরা।
গোসাইরহাট থানার এসআই মনিরুজ্জামান বলেন, অভিযানে দুইজন জেলে আটক করি। পরে ক্ষিপ্ত হয়ে জেলেরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে চারজন আহত হই।
গোসাইরহাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুজন দাস গুপ্ত বলেন, আমরা বিকেল থেকে মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে মা ইলিশ সংরক্ষণে অভিযান চালাই। এতে জেলেরা আমাদের ওপর ক্ষুব্ধ হন। সন্ধ্যায় মেঘনা নদীর কুলচরি পাতারচর এলাকায় গেলে জেলেরা ট্রলার নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় চারজন আহত হয়। পরে রাত ৯টার দিকে জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান এবং পুলিশসহ আমরা আবার অভিযানে নামি। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মো. ছগির হোসেন/এমএইচআর/জেআইএম