দিনাজপুরে আওয়ামী লীগের সম্মেলন
দুই পক্ষের সংঘর্ষে ভাইস চেয়ারম্যানসহ আহত ১০
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
সোমবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে চিরিরবন্দর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে এ সংঘর্ষ ঘটে।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত অবস্থায় দিনাজপুরের এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জ্যোতিশ চন্দ্র রায় (৪৫)। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন কবির (২৮), নিবারণ চন্দ্র রায় (৪০) এবং এনামুল (২২)। বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের জন্য চিরিরবন্দর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জড়ো হতে থাকেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। লাঠিসোঁটা ও প্লাস্টিকের পাইপ নিয়ে সম্মেলন কেন্দ্রে প্রবেশ করাকে কেন্দ্র করে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জ্যোতিশ চন্দ্র রায়ের সমর্থক এবং অপর সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আহসান হক কুমুলের সমর্থকদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এতে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জ্যোতিশ চন্দ্র রায়সহ অনন্ত ১০ আহত হন। এ সময় পরিস্থিতির সামাল দিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সংঘর্ষকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ফের সম্মেলন শুরু হয়। অপরদিকে আহতদের মধ্যে চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যায়।
আহত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীর ভাই নিবারণ চন্দ্র রায় বলেন, ‘ভাই জ্যোতিশ চন্দ্রের সঙ্গে বিদ্যালয় মাঠে সম্মেলনস্থলে যাচ্ছিলাম। মাঠে ঢোকার সময় কে বা কারা হামলা করলো, আমি কিছু বলতে পারি না। আমি কোনো দিগ্বিদিক খুঁজে পাচ্ছিলাম না।
যুবলীগকর্মী কবির বলেন, আমাদের দায়িত্ব ছিল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার। যাতে করে কেউ মাঠে কোনো অস্ত্র বা লাঠিসোঁটা নিয়ে প্রবেশ করতে না পারে। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এক কর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে সম্মেলনস্থলে প্রবেশ করে। বাধা দিতে গেলে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে।
চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রশিদ জাগো নিউজকে বলেন, পরিস্থিতির সামাল দিতে দুই গ্রুপকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। তবে এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এমদাদুল হক মিলন/এসজে/জেআইএম