ইউএনওর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে আবু জাফর (৩০) নামের এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরুল হাসানের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন জাফরের ভাই সালাউদ্দিন ঠান্ডু।
আবু জাফর দৌলতপুর উপজেলার বাঁচামারা ইউনিয়নের বাঁচামারা এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তিনি স্থানীয় বাচামারা বাজারে বিকাশ ও ফ্রিজের ব্যবসা করতেন।
অভিযোগপত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ৬ জুলাই সন্ধ্যায় উপজেলার বাঁচামারা বাজারে আনসার সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ইউএনও ইমরুল হাসান। এ সময় বিকাশ ও ফ্রিজ ব্যবসায়ী আবু জাফরের দোকান খোলা পান তিনি এবং তাকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
জরিমানা শেষে তাকে অকথ্যভাষায় গালাগাল করেন ইউএনও। এক পর্যায়ে আনসার সদস্যের বন্ধুক দিয়ে তিনি জাফরকে পেটাতে থাকেন।
চিৎকারে তার বড় ভাই সালাউদ্দিন ঠান্ডু এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করা হয়। বেশি কথা বললে তাকে ক্রসফায়ারে হত্যার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান ইউএনও।
ঘটনার পর আবু জাফর গুরুতর আহত হয়ে পড়েন এবং দীর্ঘ সাড়ে ৯ মাস পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাড়িতে মারা যান তিনি।
জাফরের ভাই সালাউদ্দিন ঠান্ডুর অভিযোগ, ‘ইউএনওর ভয়ে এতদিন অভিযোগ করতে পারিনি। আগে দেখা হলে মাঝে মধ্যে হত্যার হুমকি দিতো। কিন্তু ভাই মারা যাওয়ার পর ছোট ভাতিজা ও ভাতিজির কথা ভেবে এবং আমার বাবা-মা জাফরের জন্য কান্না কাটি করায় বাধ্য হয়ে ভাইয়ের বিচারের জন্য অভিযোগ করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্যাতনের কারণে আমার ঘাড়ের হাড় ভেঙে গেছে। ইউএনওর জন্য আমার পাঁচ বছরের ভাতিজা আলামিন ও এক বছরের ভাতিজি তাহমিনা এতিম হয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই। একজন সরকারি কর্মচারী আমার ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করলো। এটার কি কোনো বিচার হবে না?’
মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, যেহেতু অভিযোগ এবং এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তাই তদন্ত চলাকালে কিছু বলবো না।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ জাগো নিউজকে বলেন, ‘লিখিত অভিযোগের পর তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট আসার পরই এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বি.এম খোরশেদ/এসজে/জেআইএম