মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন দুই পুলিশ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় করা ধর্ষণ মামলায় সপ্তম দফায় আসামি মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দুই পুলিশ কর্মকর্তার সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। সোমবার (৩ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে তাদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।
সাক্ষ্যদাতারা হলেন সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কোবায়ের হোসেন ও বোরহানর দর্জি। এই মামলায় এখন পর্যন্ত ১৬ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আজ মামুনুল হকের বিপরীতে দুই পুলিশ কমকর্তার সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। সাক্ষীরা আমাদের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। তারা বলেছেন, ঘটনার দিন মামুনুল হককে গ্রেফতারের কোনো কারণ ছিল না।’
বিপরীতে আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘সাক্ষীরা বলেছেন মামুনুল হক এই ধর্ষণের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন। ঝর্ণাকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করেছেন মামুনুল হক।’
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়েছিল। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে আবার কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এরআগে সকাল ৯টার দিকে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্য দিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয় মামুনুল হককে।
২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর প্রথম দফায় মামুনুল হকের উপস্থিতিতে কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার সাক্ষ্য নেন আদালত। একই সঙ্গে ওই বছরের ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলায় বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেওয়া হয়।
২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক নেতা মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান।
ঘটনার পর থেকেই মামুনুল হক মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করে আসছিলেন। এ সময় পুলিশ তাকে নজরদারির মধ্যে রাখে। এরপর গত ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় মামুনুলকে।
পরে এই ঘটনায় ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। তবে ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।
মোবাশ্বির শ্রাবণ/এসআর/এএসএম