‘টিকটক ভিডিও বানাতে’ গলায় ফাঁস নিয়ে প্রাণ গেলো স্কুলছাত্রের

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ফেনী
প্রকাশিত: ১২:২৪ এএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
মৃত পল্লব দেবনাথ/ছবি: সংগৃহীত

ফেনীর ফুলগাজীতে টিকটক ভিডিও ধারণের সময় গলায় ফাঁস লেগে পল্লব দেবনাথ (১৮) নামে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের উত্তর শ্রীপুর গ্রামে মহাদেব বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ বলছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, টিকটক ভিডিও বানাতে গিয়ে গলায় ফাঁস লেগে পল্লব মারা গেছে। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে মৃত্যুর সময়ের ভিডিও উদ্ধার করা হয়েছে।

পল্লব দেবনাথ ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের উত্তর শ্রীপুর গ্রামে মহাদেব বাড়ির কেশব নাথের ছেলে। সে মুন্সীরহাট আলী আজম স্কুল অ্যান্ড কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা শাখার নবম শ্রেণির ছাত্র।

ফুলগাজী থানা সূত্র জানায়, শনিবার রাতে পল্লব বাড়িতে নিজের কক্ষের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে প্যান্টের বেল্ট ও গামছা পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস নেয়। মরদেহ উদ্ধারের সময় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে পুলিশ।

এতে টিকটক অ্যাপের ভিডিওতে তাকে দুবার আত্মহত্যার চেষ্টা করতে দেখা যায়। দুবারই আত্মহত্যার চেষ্টার ভিডিও সে মোবাইল ফোনে ধারণ করে সংরক্ষণ করে।

তৃতীয়বারের সময় আবার ভিডিও চালু রেখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। উদ্ধারকৃত মোবাইলের টিকটক অ্যাপে আত্মহত্যার বিষয়টি দেখা যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পল্লবের বাবা কেশব নাথ জানান, শনিবার রাতে ফুলগাজী বাজার থেকে বাজার করে নিয়ে আসে তার ছেলে। এরপর তার রুমে দরজা বন্ধ করে দেয়। অনেকক্ষণ দরজা বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করলে সে দরজা খোলেনি। পরে জানালা দিয়ে তাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। এরপর দরজা ভেঙে তাকে নামানো হয়।

ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঈন উদ্দিন জানান, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের টিকটক অ্যাপ থেকে আত্মহত্যার ভিডিও পাওয়া যায়। এতে দেখা যায় দুবার ব্যর্থ হয়ে তৃতীয়বারের চেষ্টায় মারা যায় সে। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

আবদুল্লাহ আল-মামুন/এএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।