কীর্তনখোলার চর থেকে ১১ ঘণ্টা পর সেই স্টিমারটি উদ্ধার


প্রকাশিত: ০২:২৯ পিএম, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

বরিশালে ঘন কুয়াশায় কীর্তনখোলা নদীর চরকাউয়া চরে আটকা পড়ার ১১ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে বিআইডব্লিউটিসির যাত্রীবাহি স্টিমার পিএস মাহ্সুদ।

রোববার বিকেল ৫টার দিকে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী টাগবোট দুর্বার দিয়ে টেনে চর থেকে স্টিমার পিএস মাহ্সুদকে নদীতে ভাসানো হয়।

এর আগে সকাল ৬টার দিকে ঘন কুয়াশায় দিক হারিয়ে কীর্তনখোলা নদীর পূর্ব পাশে চরকাউয়া এলাকার চরে উঠে যায়। চরে আটকে পড়ার পর অন্যান্য যাত্রীরা বরিশালে নেমে গেলেও মোড়েলগঞ্জের প্রায় ১০০ যাত্রী পড়ে বিপাকে।

যাত্রীরা জানান, প্রচণ্ড ঝাঁকুনীতে তাদের ঘুম ভেঙে যায় সকালে। এরপর তারা স্টিমারটিকে চরে আটকে পড়া অবস্থায় দেখতে পান। স্টিমারে প্রায় আড়াইশ যাত্রী থাকলেও আটকা পড়েন প্রায় ১০০ যাত্রী। অন্যান্যরা বরিশালে নেমে বিভিন্ন গন্তব্যে চলে যান।

জাহাজের মাস্টার ইদ্রিস হোসেন সিরাজী জানান, বরিশাল নদী বন্দরে নোঙ্গর করার আগ মুহূর্তে পিছনে যাওয়ার জন্য গিয়ার দেয়া হলে কাজ না করায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় তার একজন সহকারী মাস্টার শাহজাহান হাওলাদার স্টিমার চালাচ্ছিলেন।

বরিশাল বিআইডব্লিউটিসির সহকারী মহাব্যবস্থাপক (বানিজ্য) সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ জানান, বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী টাগবোট দুর্বার দিয়ে টেনে বিকেল ৫টার দিকে চর থেকে নদীতে ভাসানো হয়েছে। তবে দুর্ঘটনায় স্টিমারটির কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি কিংবা হতাহত হয়নি। জাহাজটি উদ্ধারের পর সেটি মোড়েলগঞ্জের উদ্দেশ্যে না পাঠিয়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশে বরিশাল নদী বন্দরে নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে।

সোমবার স্টিমারটি বরিশাল থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে বলে তিনি জানান।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার রাতে ঢাকার সদরঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে বরিশাল হয়ে মোড়লগঞ্জ যাচ্ছিলো বিআইডব্লিউটিএর প্যাডেল স্টিমার (পিএস) মাহসুদ।

সাইফ আমীন/এমএএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।