বিয়ানীবাজারে পরিত্যক্ত কূপ পুনঃখনন

দৈনিক মিলবে ৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক সিলেট
প্রকাশিত: ০৩:১৫ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২
পরিত্যক্ত কূপের খনন কাজ শুরু হয়েছে

সিলেটের বিয়ানীবাজারে গ্যাসক্ষেত্রের পরিত্যক্ত এক নম্বর কূপের পুনরায় খননকাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। এ কূপ থেকে প্রতিদিন পাঁচ-সাত মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার আশা করছে কোম্পানিটি। এরই মধ্যে দুই নম্বর কূপ থেকে প্রতিদিন সাত থেকে সাড়ে সাত মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলিত হচ্ছে।

শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিয়ানীবাজারে গ্যাসক্ষেত্রের পরিত্যক্ত এক নম্বর কূপ খনন কাজের উদ্বোধন করেন বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী।

সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, মাসখানেকের মধ্যেই এ কূপের পুনঃখনননের কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি। এরপর থেকে উৎপাদন শুরু করা যাবে। আমদের ধারণা কূপটি থেকে প্রতিদিন পাঁচ-সাত মিলিয়ন ঘনফুটের মতো গ্যাস পাওয়া যাবে। তবে খননকাজ শেষ হওয়ার আগে নিশ্চিত করে তা বলা যাবে না।

পরিত্যক্ত কূপ থেকে প্রতিদিন মিলবে ৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের (এসজিএফএল) আওতায় পাঁচটি গ্যাস ফিল্ডস রয়েছে। এগুলো হলো- হরিপুর গ্যাস ফিল্ড, রশিদপুর গ্যাস ফিল্ড, ছাতক গ্যাস ফিল্ড, কৈলাসটিলা গ্যাস ফিল্ড ও বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ড। এর মধ্যে ছাতক গ্যাস ফিল্ড আছে পরিত্যক্ত অবস্থায়। বাকিগুলোর ১২টি কূপ থেকে বর্তমানে প্রতিদিন ৯১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের এক নম্বর কূপ থেকে ১৯৯১ সালে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়। ২০১৪ সালে বন্ধ হয়ে যায় গ্যাস উত্তোলন। ২০১৬ সালে ফের উত্তোলন শুরু হলেও ওই বছরের শেষদিকে আবারও বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৭ সালের শুরু থেকেই কূপটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল।

পরিত্যক্ত কূপ থেকে প্রতিদিন মিলবে ৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

সাম্প্রতিক সময়ে বাপেক্স ওই কূপে অনুসন্ধানকাজ চালায়। তাতে দেখা যায়, কূপে এখনো গ্যাস মজুত রয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে খননকাজ শুরু হয়েছে।

ছামির মাহমুদ/এসজে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।