দিনাজপুরে নদীতে ডুবে দুই ছাত্রের মৃত্যু
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ছোট যমুনা নদীতে গোসল করতে নেমে রাহাত (১৬) নামে দশম শ্রেণির এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে আত্রাই নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজের দুইদিন পর নাদিম (২০) নামে এক কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টায় রাহাতের ও সকালে নাদিমের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
মৃত রাহাত ফুলবাড়ী উপজেলার পৌর শহরের পশ্চিম কাঁটাবাড়ী গ্রামের মো. রজব আলীর ছেলে। এছাড়া নাদিম দিনাজপুর সদর উপজেলার ২ নম্বর সুন্দরবন ইউনিয়নের দরবারপুর ফকিরপাড়া এলাকার এনামুল হকের ছেলে।
জানা যায়, দশম শ্রেণির ছাত্র রাহাতসহ পাঁচ বন্ধু মিলে রাহাতের বাবার কেনা নতুন বাড়ি দেখতে চাঁদপাড়া গ্রামে যায়। সেখানে বন্ধুরা সবাই মিলে নদীতে গোসল করতে নামে। রাহাত সাঁতার না জানায় সে অল্প পানিতেই গোসল করছিল। কিন্তু কখন সে নদীর গভীরে চলে যায় তা বুঝতে পারেনি। এসময় নদীতে স্রোত থাকায় তলিয়ে যায়। বন্ধুরা তাকে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে ফুলবাড়ী ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহায়তা দুপুর দেড়টায় ঘটনা স্থল থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ফুলবাড়ী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ইনচার্জ মো. মেহেদী হাসান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ চালাই। পরে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে রাহাতকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে গত শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সুন্দরবন ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে চলা আত্রাই নদীর বীরগাঁও ঘাটে তিন বন্ধু মিলে গোসল করতে নামে এইচএসসি পরীক্ষার্থী নাদিম। এসময় সে নিখোঁজ হয়। এই ঘটনায় স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তাদের ডুবুরি দল অনেক খোঁজাখুঁজির পর ব্যর্থ হয়। সোমবার সদর উপজেলার পাঁচবাড়ীহাট আত্রাই ব্রিজের নিচে তার মরদেহ ভেসে ওঠে। পরে নাদিমের মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মওলা বলেন, পরিবারের কোনো প্রকার অভিযোগ না থাকায় মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এমদাদুল হক মিলন/এমআরআর/এএসএম