পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্ব, বাবার কবরের প্রাচীর ভাঙচুর

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি বরগুনা
প্রকাশিত: ০৭:২০ পিএম, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
কবরের প্রাচীর ভাঙচুর করা হয়

বরগুনার তালতলী উপজেলায় পৈতৃক সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে ভাইবোনদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে বাবার কবরের প্রাচীর ভাঙচুর করেছেন বড় ছেলে। এমন একটি ভিডিও শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের মালিপাড়া নসু হাওলাদার প্রায় ৩০ বছর আগে মারা যান। তার তিন ছেলে ও চার মেয়ে। বাবার মৃত্যুর পর পৈতৃক সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে বড় ভাই আলম হাওলাদারের সঙ্গে অপর ভাইবোনদের বিরোধ চলে আসছে। নিয়ম অনুযায়ী সব ভাইবোনদের মধ্যে সম্পত্তি ভাগ করে দেওয়ার কথা থাকলেও আলম তাতে রাজি হননি।

বাকি ভাইবোনদের দাবি, তাদের বাবা বেঁচে থাকতে চিকিৎসা করানোর কথা বলে আলম বরিশালে নিয়ে যান। সেখানে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাবার কাছ থেকে বেশিরভাগ জমি লিখে নেন। এসব নিয়ে প্রতিবাদ জানালে অপর দুই ভাইকে এলাকা ছাড়া করেন আলম। অন্যদিকে বোনরা বাবার সম্পত্তির ভাগ চাইলে তাদের ছেলে মেয়েদেরও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেন তিনি।

তারা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় মেজ বোন পারুলের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় আলমের। এর জেরে আলম তার বাবার কবরের প্রাচীর ভাঙচুর করেন। স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুরোপুরি ভাঙতে পারেনি তিনি। তবে এর একটি ভিডিও ফেসবুক ভাইরাল হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, হ্যামার দিয়ে গেঞ্জি গায়ে একজন কবরের প্রাচীর ভাঙছেন। পাশে থাকা পাঞ্জাবি পরা এক ব্যক্তি তা থামানোর চেষ্টা করছেন। আশপাশে অনেক শোরগোলও শোনা যায়। পরে আরও একজন এগিয়ে গিয়ে ভাঙচুর থামান।

আলমের মেজ বোন পারুল বলেন, ‘বাবার সম্পত্তির ভাগ চাইতে গেলে তিনি (আলম) আমাকে লাথি মারেন। বাবা কেন বেশি সন্তান জন্ম দিলো, তাই বলে কবরের প্রাচীরে জুতা দিয়ে পেটাতে থাকে। পরে হ্যামার দিয়ে প্রাচীর ভাঙচুর করেন। এ ঘটনার বিচার চাই।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আলম বলেন, ‘আমাদের জমিজমা নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। বাবার কবরের প্রাচীর ভেঙেছি এটা সত্যি। তবে বেশি সন্তান জন্ম দেওয়ার কোনো কথা বলিনি। এটা আমার বোনরা বানিয়ে বলেছে।’

তিনি উল্টো অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার বোনরা জমি যা পাবে তার চেয়ে বেশি দখল করে রেখেছে।’

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু জাগো নিউজকে বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসজে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।