নেত্রকোনায় বিএনপির সম্মেলন মঞ্চ ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নেত্রকোনা
প্রকাশিত: ০৩:৫৮ পিএম, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে মঞ্চ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বিএনপির পূর্বনির্ধারিত এই সম্মেলন শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা শহরের গোপালপুর ফায়ার সার্ভিস কার্যালয় মোড়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বারহাট্টা উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন শনিবার দুপুর ২টার দিকে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। নির্ধারিত সময়ে সম্মেলনের জন্য উপজেলা শহরের গোপালপুর ফায়ার সার্ভিস কার্যালয় মোড়ে মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়। কিন্তু শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাঈনুল হক কাশেমের নেতৃত্বে উপজেলা সদরে বিএনপির নৈরাজ্যবিরোধী একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি গোপালপুর বাজারের ফায়ার সার্ভিস মোড়ে পৌঁছে বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের মঞ্চ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। তবে এসময় কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. মোস্তাক আহমেদ বলেন, পূর্বনির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। সম্মেলনে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. আনোয়ারুল হক উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু দুপুরে মাঈনুল হক কাশেমের নেতৃত্বে সম্মেলন মঞ্চটি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে আপাতত সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে।

তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাঈনুল হক কাশেম বলেন, বিএনপির নৈরাজ্যবিরোধী একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পরে আমরা খবর পাই, স্থানীয় বিএনপি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে জড়ো হচ্ছে। এ কারণে আমরা মঞ্চটি ভেঙে দিয়েছি। বারহাট্টায় কোনো নৈরাজ্য করতে দেওয়া হবে না।

বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফুল হক দুপুর আড়াইটার দিকে বলেন, আমরা এমন কোনো সংবাদ পাইনি। বারহাট্টায় কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগও করেনি।

এইচ এম কামাল/এমআরআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।